জাপানে ঘূর্ণিঝড় হাগিবিসের আঘাত, উদ্ধার অভিযানে লক্ষাধিক কর্মী

জাপানে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হাগিবিসের আঘাতে থমকে গেছে জাপান। প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৪০ জন। এখন নিখোঁজ রয়েছেন ১৬ জন। বিভিন্ন জায়গায় আটকা পড়ে আছেন অনেকে। উদ্ধার অভিযানে অংশ নিচ্ছে দেশটির ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ।

_109221290_gettyimages-1175564624

শনিবার সন্ধ্যায় শক্তিশালী টাইফুনটি হনশু দ্বীপের উপকূল দিয়ে জাপানের স্থলভাগের দিকে উঠে আসে। ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার গতি নিয়ে পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলের দিকে এগিয়ে যায় ঘূর্ণিঝড়টি। ক্যাটাগরি-৩’ মাত্রার শক্তিশালী টাইফুন হাগিবিসের তাণ্ডবের পর রবিবার বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে জাপানের সেনাবাহিনী।

বিগত ১০ বছরে জাপানে এত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আঘাত আনেনি।   দেশটিতে চলমান রাগবি বিশ্বকাপের তিনটি ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে জাপান ও স্কটল্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি বাতিল করা হয়নি।   

ম্যাচটিতে ২৮-২১ গোলে জয় পায় জাপান। একইসঙ্গে প্রথমবারের মতো উঠে যায় বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে। দারুণ এই জয়টি ঘূর্ণিঝড়ে হতাহতদের প্রতি উৎসর্গ করেছে জাপান দল। জাতীয় দলের কোচ জেমি জোসেফ বলেন, যারা ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বিধ্বস্ত, এই জয় আপনাদের জন্য। এটি আমাদের কাছে খেলার চেয়ে বেশি কিছু।  

ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে আক্রান্তদের উদ্ধারে হাজার হাজার পুলিশ, দমকলকর্মী, কোস্টগার্ড ও সেনাসদস্য কাজ করছে।  প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়, উদ্ধারকর্মীরা বন্যায় ঘরহারাদের বেশি গুরুত্ব দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

আটক মানুষদের উদ্ধারে তল্লাশি চালাতে হেলিকপ্টারও ব্যবহার করছে  সেনাবাহিনী। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, হেলিকপ্টারের দৃষ্টি আকর্ষণে হাত নাড়াচ্ছে আটকে পড়া মানুষ। নাগানোর জরুরি উদ্ধার বিভাগের কর্মকর্তা ইয়াশিরো ইয়ামাগুচি বলেন, রাতের মধ্যে আমরা ৪২৭টি বাড়ির প্রায় এক হাজার ৪১৭ জন বাসিন্দাকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। তিনি জানান নদীর পানি না বাড়লেও আবাসিক এলাকাগুলোতে পানির উচ্চতা বাড়ছে।

গত মাসে জাপানে আঘাত হানে আরেকটি শক্তিশালী টাইফুন ফাক্সাই। ওই ঝড়ের কারণে রাজধানী ও আশেপাশের এলাকায় বিঘ্নিত হয় পরিবহন চলাচল। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ব্যাপক এলাকা। ওই ঝড়ের ক্ষত কাটিয়ে ওঠার মধ্যেই নতুন টাইফুন আঘাত হানে।