ভারতের মুর্শিদাবাদে এক স্কুলশিক্ষক, তার গর্ভবতী স্ত্রী ও ছয় বছরের ছেলেকে তাদের বাড়িতে খুনের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, টাকা-পয়সা সংক্রান্ত সমস্যাই এই হত্যাকাণ্ডের কারণ। ক্ষমতাসীন দল বিজেপির দাবি, নিহত ৩৫ বছরের শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল আরএসএসের সদস্য ছিলেন। এরপর থেকেই এই হত্যাকাণ্ডে রাজনৈতিক রঙ লাগে। তবে পুলিশ জানায়, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও সংযোগ নেই।
উৎপল বহেরা ছিলেন বন্ধুপ্রকাশের ব্যবসার সহযোগী। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, সে বন্ধুপ্রকাশকে দু'টি জীবন বিমা পলিসির জন্য টাকা দিয়েছিল।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘যদিও বন্ধুপ্রকাশ পাল প্রথম পলিসির জন্য টাকার রসিদ দিয়েছিলেন, কিন্তু দ্বিতীয় পলিসির কোনও রসিদ তিনি দেননি। কয়েক সপ্তাহ ধরে এটা নিয়ে দু'জনের মধ্যে ঝগড়া চলছিল। বন্ধুপ্রকাশ উৎপলকে অপমান করেছিলেন। এরপরই উৎপল পরিকল্পনা করে বন্ধুপ্রকাশকে খুন করার।''
গত সপ্তাহে রক্তে ভেসে যাওয়া ওই তিন জনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। বহু বিজেপি নেতা ও সমর্থক ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেন। এমনকি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরও এই নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘‘কার্পেটের তলায় কিছু লুকিয়ে রাখা যাবে না।'' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের এই নিয়ে নীরবতাতেও তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
তবে পাল পরিবারের পক্ষ থেকেই জানানো হয়েছিল, এর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও সংযোগ নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছে, বিজেপি সরকারকে অপদস্থ করতে এভাবে খুন নিয়ে রাজনীতি করছে।