বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই হংকংবাসীদের রাজপথে নামার আহ্বান

সরকারের বিধিনিষেধ ও গ্রেফতারের ঝুঁকি উপেক্ষা করে হংকং-এর বাসিন্দাদের রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন অঞ্চলটির স্বাধীনতাকামী নেতারা। ১৮ অক্টোবর শুক্রবার পুলিশ এ ধরনের বিক্ষোভ নিষিদ্ধ ঘোষণার পরই তারা এ আহ্বান জানান। রবিবারের সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়ে গণতন্ত্রের পক্ষে আওয়াজ তোলার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
গণতন্ত্রপন্থী অ্যাক্টিভিস্ট লেউং কোভক-হাং বলেন, হংকং-এর বাসিন্দাদের প্রতি আমাদের আহ্বান; আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে একত্রিত হোন, শান্তিপূর্ণভাবে পদযাত্রা করুন। পুরো দুনিয়াকে দেখিয়ে দিন, আমাদের দাবির ব্যাপারে আমরা এখনও অনড়।

এই আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন গণতন্ত্রপন্থী অ্যাক্টিভিস্ট লেউং কোভক-হাং।

এক সময়কার ব্রিটিশ কলোনি হংকং এখন চীনের অংশ। ‘এক দেশ, দুই নীতি’র অধীনে কিছু মাত্রায় স্বায়ত্তশাসন ভোগ করছে হংকং। অঞ্চলটির নিজস্ব বিচার ও আইন ব্যবস্থা রয়েছে,যা মূল চীনের চেয়ে ভিন্ন। গত ৯ জুন থেকে সেখানে কথিত অপরাধী প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। আন্দোলনকারীদের আশঙ্কা,ওই বিল অনুমোদন করা হলে ভিন্নমতাবলম্বীদের চীনের কাছে প্রত্যর্পণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। লাখো মানুষের উত্তাল গণবিক্ষোভের মুখে এক পর্যায়ে ওই বিলকে ‘মৃত’ বলে ঘোষণা দেন হংকংয়ের চীনপন্থী শাসক ক্যারি ল্যাম। তবে এতে আশ্বস্ত হতে না পেরে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে সেখানকার নাগরিকরা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হংকংয়ের স্বাধীনতার দাবি। সাপ্তাহিকভাবে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ ক্রমাগত সহিংস হয়ে উঠছে।

হংকং-এর প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম বলেছেন, সাপ্তাহিক বিক্ষোভে সহিংসতায় শহর ধ্বংসের উপক্রম হওয়ায় উপনিবেশিক আমলের আইন প্রচলন করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। নিরাপত্তা সচিব জন লি বলেছেন, অনুমোদিত ও অনুনোমোদিত জনসমাগম, মিছিল বা শোভাযাত্রায় নিষিদ্ধ হবে মুখোশ ব্যবহার। রংয়ের ব্যবহারসহ মুখ ঢাকা যে কোনও কিছু এর আওতায় নিষিদ্ধ থাকবে।

মুখোশ নিষিদ্ধের পর সর্বশেষ গত শুক্রবার বিক্ষোভ নিষিদ্ধের ঘোষণা দেয় পুলিশ। এরপরই বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই হংকংবাসীদের রাজপথে নামার আহ্বান জানান গণতন্ত্রপন্থী ও স্বাধীনতাকামী অ্যাক্টিভিস্টরা। সূত্র: রয়টার্স।