দক্ষিণ কোরিয়ার নির্মাণ করা ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ কিম জং উনের

প্রখ্যাত এক পর্যটন কেন্দ্রে থাকা দক্ষিণ কোরিয়ার নির্মাণ করা হোটেলসহ সব ভবন ধ্বংস করে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। তার দাবি, উত্তর কোরিয়ার মাউন্ট কুমগ্যাং নামের এই কমপ্লেক্সটিকে দুর্যোগকবলিত এলাকার অস্থায়ী তাঁবুর মতো বানানো হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।

_109338460_057489299

মাউন্ট কুমগ্যাং রিসোর্টকে একসময় আন্তঃকোরীয় সম্পর্কের প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করা হতো। উত্তর কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ১৯৯০-এর দশকে রিসোর্টটি নির্মাণ করে দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানি। কোরীয় উপত্যকার অন্যতম দর্শনীয় স্থান এটি। দক্ষিণ কোরিয়ার হাজার হাজার পর্যটককে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে সেখানে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে ২০০৮ সালে উত্তর কোরীয় নিরাপত্তারক্ষীর গুলিতে দক্ষিণ কোরিয়ার এক নারী নিহতের পর থেকে সেখানে পর্যটক সংখ্যা কমতে থাকে। ২০১১ সালে সেখানে থাকা দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পদ বাজেয়াপ্ত এবং থেকে যাওয়া কর্মকর্তাদের বহিষ্কার করে উত্তর কোরিয়া।

বুধবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, কিম জং উন ওই রিসোর্টটি পরিদর্শন করেছেন। আর ভবনগুলোকে জীর্ণ ও জাতীয় চারিত্রের সঙ্গে সম্পর্কহীন বলে মন্তব্য করেন। কেসিএনএ বলেছে, তিনি দক্ষিণের পক্ষের বেমানান দেখতে সব ভবন গুঁড়িয়ে ফেলার এবং আমাদের মতো করে নতুন আধুনিক সেবাকেন্দ্র বানানোর নির্দেশনা দিয়েছেন।

কিম জং উন বলেন, এই রিসোর্টটিকে স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে দেখার বদলে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্কের প্রতীক হিসেবে দেখা ভুল হবে। তিনি বলেন, মাউন্ট কুমগ্যাং আমাদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া ভূমি আর এর প্রতিটি চূড়া ও গাছ আমাদের সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

প্রসঙ্গত, ১৯৫৩ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ লিপ্ত থাকা দুই দেশের সম্পর্ক গত বছর খানিকটা উষ্ণ হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এক সামরিক মহড়া চালানোর পর দক্ষিণের সঙ্গে সব আলোচনা বাতিলের ঘোষণা দেয় উত্তর কোরিয়া।