কাশ্মিরে বয়কটের মধ্যেও চলছে নির্বাচন

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে বেশিরভাগ  রাজনৈতিক দল নির্বাচন বয়কট করলেও তার আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিরোধীদলগুলোর দাবি এই নির্বাচন ‘অগণতান্ত্রিক’। এছাড়া অনেক ভারতপন্থী নেতাকর্মীসহ সাবেক তিন মুখ্যমন্ত্রীকে এখনও আটক রাখা হয়েছে। তারপর স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন।

666dcf2a1a444136a9a48ea3307cc89e_18

৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। লাদাখ ও কাশ্মিরকে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে পার্লামেন্টে বিল পাস হয়। এ পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক অতিরিক্ত সেনা। গ্রেফতার করা হয়েছে সেখানকার শত শত নেতাকর্মীকে।

স্থানীয় কাশ্মিরি রাজনীতিবিদরা এই সময়ে নির্বাচন আয়োজনের সমালোচনা করছেন। শেহলা রশিদ নামে তরুণ এক রাজনীতিবিদ চলতি মাসেই নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়ে বলেন তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের নির্বাচনে অংশ নিয়ে একে ‘বৈধ’ বানাতে চান না।

বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে ২৬ হাজার ৬২৯ টি গ্রাম পরিষদের প্রধানরা ৩১০টি আসনে ভোট দেবেন। কাশ্মিরের মোট জনসংখ্যা ৭০ লাখ। তবে ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিপল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও পিপলস কনফারেন্সের মতো বড় দলগুলো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। ফলে ৬০ শতাংশ গ্রাম পরিষদের আসন ফাকা রয়ে গেছে। 

 সহিংসতার আশঙ্কা

অনেক গ্রাম্য নেতাই সরকারের সরবরাহকৃত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আশ্রয় নিয়েছে। তাদের আশঙ্কা যেকোনও সময় সশস্ত্র হামলা হতে পারে। আসিয়া নামে ৩৪ বছর বয়সী এক নারী বলেন, সবাই ভয়ে আছি। আমি তিন সন্তান নিয়ে হোটেলে উঠেছি।

কাশ্মিরের অনন্তনাগের সাবেক পার্লামেন্ট সদস্য গোলাম আহমেদ মীর বলেন, বিজেপি এই অঞ্চল ধ্বংস করে দিচ্ছেন। বেশিরভাগ নেতা যেখানে বন্দি সেখানে এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন বিজেপির জন্য, বিজেপি দ্বারা পরিচালিত ও বিজেপির নির্বাচন। এখানে কোনও গণতন্ত্র নেই।’