রুশ ‘গুপ্তচর’ মারিয়াকে মুক্তি দেবে যুক্তরাষ্ট্র

রাশিয়ার ‘গুপ্তচর’ অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া মারিয়া বুটিনাকে মুক্তি দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। রাজনৈতিক দলে অনুপ্রবেশ করে রাশিয়ার সরকারি গোয়েন্দা হিসেবে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ২৯ বছরের ওই রুশ নারীকে গ্রেফতার করা হয়। আদালত তাকে ১৮ মাসের কারাদণ্ড দেয়। কারাভোগের পর শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) তাকে মুক্তি দেওয়া হবে। এরপর রাশিয়ায় ফেরত পাঠানোর জন্য অভিবাসন কেন্দ্রে রাখা হবে তাকে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা’র এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

d9a81a95ab1448dc9ef20609702d3a54_18 (1)

রুশ নারী মারিয়া বুটিনাকে গ্রেফতারের পর যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, তিনি রিপাবলিকান পার্টির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন এবং আগ্নেয়াস্ত্র রাখার একজন সমর্থকে পরিণত হয়েছেন। তবে বুটিনার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়।

অভিযোগ রয়েছে, ওই নারী রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নির্দেশে কাজ করতেন। এ অভিযোগে তাকে ওই সময় ১৮ মাসের কারাদণ্ড দেয় যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। যার প্রায় অর্ধেক সময় কারাগারে কাটিয়েছেন তিনি। তবে বুটিনার আইনজীবী রবার্ট ড্রিসকলের দাবি, তার মক্কেল কোনও এজেন্ট নন। তিনি একজন শিক্ষার্থী।

বুটিনা বলেন, ‘আমি মূলত রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ভাল সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করেছি। এজন্য আমার ওয়াশিংটন ডিসি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া। আর সেখানে রিপাবলিকান দলের কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়া।’

মুক্তির পর বুটিনার পরিকল্পনা কী এ ব্যাপারে তার আইনজীবীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তর দেননি। তবে তিনি আদালতে দেওয়া আবেদনে বুটিনা দেশে ফিরে যেতে চান বলে উল্লেখ করেছেন। রুশ সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, তিনি কয়েক দিনের মধ্যে দেশে ফিরে আসবেন।

কারাগারে থেকে যুক্তরাষ্ট্রের রেডিও এনপিআর’কে বুটিনা বলেন, “আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে আমার একমাত্র লক্ষ্য ‘নাগরিক কূটনীতি’তে যুক্ত হওয়া। কখনও আমার মাতৃভূতির প্রতি ভালবাসা গোপন করিনি, এই দেশের প্রতিও না। আমি উভয় দেশকে ভালোবাসি। আমি শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিলাম।”