দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের দাবিতে বলিভিয়ায় বিরোধীদের বিক্ষোভ

নির্বাচনে ভোট চুরির অভিযোগ ও ফল প্রত্যাখ্যান করে বলিভিয়ায় বিক্ষোভ করছে বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার বিতর্কিত নির্বাচনের ফলে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টকে ইভো মোরালেসকে জয়ী ঘোষণার পর এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিরোধীরা এই ফল প্রত্যাখান করে দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে।

p07s1djh

২০ অক্টোবর বলিভিয়ার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার নির্বাচনি বোর্ডের চূড়ান্ত ভোট গণনা শেষে মোরালেস ৪৭ দশমিক ০১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। অপরদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী কার্লোস মেসা পেয়েছেন ৩৬ দশমিক ৫১ শতাংশ ভোট। ফলে তাদের ভোট ব্যবধান দশ শতাংশের বেশি হয়েছে। এতে তাকে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনে লড়তে হবে না।

উল্লেখ্য, চতুর্থ বারের মতো ক্ষমতায় থাকতে মোরালেসের ৪০ শতাংশ ভোট ও প্রতিদ্বন্দ্বির সঙ্গে ভোট ব্যবধান ১০ শতাংশ থাকতে হবে। এ নির্বাচনে ভোট চুরির অভিযোগ ওঠায় প্রায় ২৪ ঘণ্টা ভোট গণনা স্থগিত ছিল।

এ নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট প্রাপ্ত রাজনৈতিক দলের নেতা কার্লোস মেসা। তিনি দাবি করেছেন, ‘অন্য প্রার্থীরা তাকে সমর্থন দিলে দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে তার জয়ের সম্ভাবনা অনেক বেশি।’

গণনায় ভোট চুরির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করছে বিরোধীরা। তা ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানী লাপাজে। সংঘর্ষ হয়েছে শান্ত ক্রুজের মতো বড় বড় শহরে। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। বেশিরভাগ বলিভিয়ানই বলছেন, ‘নির্বাচনি কর্তৃপক্ষের ওপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। ধারণা করা হচ্ছে শুক্রবার আরও বড় বিক্ষোভ হবে।’

২০ অক্টোবর ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচনি কর্মকর্তাদের প্রকাশিত ফলাফলে দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। এর পর ২৪ ঘণ্টার জন্য নির্বাচনি সংস্থার ওয়েবসাইটে ভোটের ফল প্রকাশের হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ বন্ধ ছিল। তবে সর্বশেষ যখন পুনরায় শুরু হয় তখন দেখা যায়, মোরালেস তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি থেকে ১০ শতাংশ ভোটে এগিয়ে আছেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমেরিকান দেশগুলোর সংস্থার (ওএএস) প্রধান লুইস আলমার্গো বলেন, ‘ফলাফল ঘোষণার পূর্বে আঞ্চলিক সংস্থার পর্যবেক্ষণের জন্য অপেক্ষা করতে হবে বলিভিয়াকে।’ ফলাফলের নাটকীয় পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ওএএস’র পর্যবেক্ষকরা। তাদের মূল্যায়নকে সমর্থন করে দ্বিতীয় দফা নির্বাচন হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল।