কারবালার বিক্ষোভে ইরাকি পুলিশের গুলিতে নিহত ১৪, আহত ৮ শতাধিক

ইরাকের পবিত্র নগরী কারবালায় সোমবার রাতভর বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। চিকিৎসা ও নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এই ঘটনায় অন্তত ১৪ বিক্ষোভকারী নিহত ও অন্তত ৮৬৫ জন আহত হয়েছে। তবে ইরাকি পুলিশের দাবি, তাদের হাতে কোনও বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়নি।noname

কর্মসংস্থান সংকট, নিম্নমানের সরকারি সেবা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে অক্টোবরের শুরু থেকে বাগদাদের রাজপথে নামেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। তারা রাজধানীর সব প্রধান সড়ক বন্ধ করে দিলে বিক্ষুব্ধদের দমনে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও গুলি চালায় পুলিশ। পরে এই বিক্ষোভ আরও কয়েকটি শহরে ছড়িয়ে পড়ে। এক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি ক্ষমতা গ্রহণের পর এটাই দেশজুড়ে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ২৫০ জন নিহত হওয়ার খবর জানা গেছে।

কারবালার স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান দাবি করেছেন, বিক্ষোভের ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর ৬৬ সদস্যসহ ১২২ জন আহত হয়েছে। আর কারবালার পুলিশ প্রধান এক বিবৃতিতে কোনও বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। তার দাবি কেবলমাত্র এক ব্যক্তি অপরাধ সংশ্লিষ্ট ঘটনায় মারা গেছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি ছোঁড়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ প্রধান দাবি করেন, এই ভিডিওটি নকল। আর শহরের রাজপথে উসকানি দিতে ভিডিওটির নকশা করা হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার রাজধানী বাগদাদের তাহরির স্কয়ারে দ্বিতীয় দফা বিক্ষোভের পঞ্চম দিনের বিক্ষোভে যোগ দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। স্কয়ার অভিমুখে দাঙ্গা পুলিশ রওনা দিতে দেখেছেন রয়টার্সের এক প্রতিনিধি।

প্রধানমন্ত্রী আবদুল মাহদির এক মুখপাত্র রবিবার হুঁশিয়ার করেছেন, কাজ এবং স্কুলের দিনে কেউ বিঘ্ন ঘটালে তাকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। তাহরির স্কয়ারে জড়ো হওয়া এক শিক্ষক বলেন, ‘তারা (সরকার) আমাদের চাকরি নিয়ে হুমকি দিচ্ছে, বলছে আমরা আসলে আমাদের বেতন কেটে নেবে, তারা বেতন নিয়ে নিতে পারে! কিন্তু কেন এই রক্তপাত? কেন এইসব তরুণদের প্রাণ কেড়ে নেওয়া হলো’?