মানবপাচারের অভিযোগে ব্রাজিলে সাত বাংলাদেশি আটক

মানবপাচারের অভিযোগে ব্রাজিলে এক ব্যবসায়ীসহ সাত বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থার সমন্বিত অভিযানে তাদের আটক করা হয়। এদের মধ্যে সাইফুল্লাহ আল মামুন (৩২) নামের একজন রয়েছে, তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস আদালতে মানবপাচার ও ষড়যন্ত্রের আটটি অভিযোগে চার্জ গঠন করা হয়েছে।

12db8d0278f21bb2e86249eff953eae0-5d8452528f657

ব্রাজিলের পুলিশ হাতে আটক ছয় বাংলাদেশি- সাইফুল ইসলাম (৩২), তামুর খালিদ (৩১), নজরুল ইসলাম (৪১), মোহাম্মদ ইফরান চৌধুরী (৩৯), মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন (২৮), মো. বুলবুল হোসাইন (৩৬)।

অভিযুক্তদের ধরতে সমন্বিত অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের সংস্থাগুলো। মূলত মানবপাচারকারী নেটওয়ার্ক তথা জননিরাপত্তা ঝুঁকি ও গুরুতর মানবিক উদ্বেগ সৃষ্টি প্রতিরোধ করতে এই ধরনের অভিযান চালায় তারা।

আদালতে দোষী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত আসামিরা নির্দোষ ও তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো নিছকই অভিযোগ বিবেচিত হবে। টেক্সাস আদালতে দাখিলকৃত অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ‘আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে সে বিদেশি নাগরিকদের সাও পাওলোতে এনে রেখেছে। মানবপাচারকারী গোষ্ঠীর মাধ্যমে ব্রাজিল, পেরু, ইকুয়ডোর, কলম্বিয়া, পানামা, কোস্টারিকা, নিকারাগুয়ে, হন্ডুরাস, গুয়েতেমালা ও মেক্সিকো হয়ে তাদের যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশের সুযোগ করে দেয় সে।’

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘বিদেশি নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের জন্য অভিযুক্ত মামুন ও তার দুই সহকারীকে মেক্সিকো, মধ্য আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, বাংলাদেশ বা অন্য কোথাও অর্থ পরিশোধ করা হবে।’

ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাও পাওলোতে আল মামুনের একটি পর্যটন সংস্থা ও মুদি দোকান আছে। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে মানবপাচারের জন্য তাকে ৪৭ হাজার ব্রাজিলিয়ান রিয়েল জরিমানা করা হয়েছে। তবে তাকে এখন ব্রাজিলে অবস্থান করতে হলে তাকে ২৫ হাজার রিয়েল জরিমানা পরিশোধ করতে হবে।

আল মামুনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের পর মার্কিন বিচার বিভাগের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্রায়ান এ বেনজকোভস্কি বলেন, ‘আমাদের আইনি অভিবাসন ব্যবস্থাকে যারা ব্যর্থ করার চেষ্টা করে দেশের জনসাধারণের নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলে ওইসব মানবপাচারকারীর বিচার করতে এখানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

একই অভিযোগে গত আগস্টে মেক্সিকোতে মিলন মিয়া ও মোক্তার হোসেইন নামের আরও দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার হয়েছিল।