সপ্তাহে তিনদিন ছুটি দিয়ে মুনাফা বাড়লো মাইক্রোসফটের

এক পরীক্ষামূলক প্রকল্পের অংশ হিসেবে জাপানে সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন থেকে বাড়িয়ে ৩ দিন করেছে মাইক্রোসফট। জাপানের আঞ্চলিক দফতরে নেওয়া এই প্রকল্পে কেবল কর্মীরাই খুশি হয়নি; প্রতিষ্ঠানও লাভবান হচ্ছে।  'ওয়ার্ক-লাইফ চয়েস চ্যালেঞ্জিং সামার ২০১৯' নামের ওই প্রণোদনায় কর্মীদের উৎপাদনশীলতা বেড়েছে ৪০ শতাংশ।

Kfrzr5ksDZP4ZRjsJUoQXk-320-80

মাইক্রোসফট যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক  একটি বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। বিল গেটসের হাতে ১৯৭৫ সালের ৪ এপ্রিল এটির জন্ম। বিশ্বজুড়ে এর কর্মী সংখ্যা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাইক্রোসফট চলতি বছরের আগস্ট মাসে শনি-রবিবারের সঙ্গে শুক্রবারও ছুটি দেওয়া হয় কর্মীদের। এতে কর্মীরা এক দিন কম কাজ করলেও আগের থেকে তাদের মাসিক উৎপাদনশীলতা বেড়েছে ৪০ শতাংশ। 

কর্মচারীরা যাতে ব্যক্তিগত জীবনে আরও একটু বেশি সময় দিতে পারেন, তার জন্য 'ওয়ার্কিং রিফর্ম প্রজেক্ট' পরিচালনা করে মাইক্রোসফট জাপান। এক মাসের জন্য এই চ্যালেঞ্জ নেওয়া হয়। সেখানে ২,৩০০ কর্মচারীকে প্রতি সপ্তাহে তিন দিন করে ছুটি দেওয়া হয়। এই 'স্পেশাল পেইড হলিডে'-র জন্য কর্মীদের কাছ থেকে অন্য কোনও ছুটির দিন কেটে নেওয়া হয় না। ফলাফল হয়েছে অভাবনীয়। দেখা গেছে, কর্মীরা বিগত মাসের তুলনায় ২৫.৪% কম ছুটি নিয়েছেন। কর্মঘণ্টা কম থাকায় বিদ্যুত্‍ ব্যবহার ২৩.১% কমে গেছে।

পরীক্ষামূলক এই প্রকল্প এখনই স্থায়ী হয়ে যাচ্ছে না। সামনের বছর আবার এক মাসের জন্য কর্মীদের সপ্তাহে তিন দিন করে ছুটি দেওয়া হবে বলে ঠিক করেছে মাইক্রোসফট জাপান।

 ২০১৭ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গিযেছিলো জাপানে কর্মীরা মাসে ৮০ ঘণ্টারও বেশি ওভারটাইম কাজ করেন। অনেক সময় এরজন্য টাকাও দেওয়া হতো না। এমন বাস্তবতায় এই প্রকল্প পরিচালনা করে সুফল পেয়েছে মাইক্রোসফট। তারা বলছে, কর্মীদেরকে ‘বুদ্ধিদীপ্তভাবে’ বিশ্রাম নেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করছে তারা।