দিল্লির ভয়াবহ দূষণের নেপথ্যে পাকিস্তান: দাবি বিজেপি নেতার

বেশ কিছুদিন ধরে ভয়াবহ বায়ু দূষণে নাকাল হয়ে পড়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, দিল্লিবাসীর প্রতিটি শ্বাসেই যেন ফুসফুসে প্রবেশ করছে মারণ বাতাস। দূষণের ফলে কম দৃশ্যমানতার কারণে রবিবার দিল্লি বিমানবন্দর থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে ৩২টি বিমানের গতিপথ। এমনকি দিল্লি সফরে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। গত কয়েকদিনে দিল্লিতে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স কোথাও কোথাও ১৬০০ ছাড়িয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অসহ্য দুষণের পেছনে রয়েছে পঞ্জাব-হরিয়ানায় চাষিদের নাড়া পোড়ানোর ধোঁয়া। তবে দূষণের নতুন ব্যাখ্যা দিয়েছেন ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি-র নেতা বিনীত আগরওয়াল। তার দাবি, পাকিস্তানের কারণেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।noname
উত্তর প্রদেশের এই বিজেপি নেতা বলেন, ‘এই যে বিষাক্ত বাতাস আসছে তা হয়তো প্রতিবেশী দেশ ছেড়ে দিয়েছে। কারণ তারা আমাদের ভয় পায়। আমাদের এখন ভেবে দেখা উচিত পাকিস্তান ওই বিষাক্ত গ্যাস ছেড়েছে কিনা।’

বিনীত আগরওয়াল আরও বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী এবং অমিত শাহ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর কোণঠাসা হয়ে পড়েছে পাকিস্তান। তবুও বিভিন্নভাবে ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছে। কিন্তু কোনও কিছুতেই তারা পেরে উঠছে না। যখনই ওরা ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করছে তখনই হেরেছে। এখন তারা হতাশ।’

এই বিজেপি নেতা বলেন, ‘দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীও রাজধানীর দূষণের জন্য চাষিদের নাড়া পোড়ানোকে দায়ী করেছেন। কিন্তু চাষিরা আমাদের দেশের মেরুদণ্ড। দূষণের জন্য তাদের ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়ী করা উচিত নয়। এই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ জুটি।’noname

পাঞ্জাব বা হরিয়ানায় কৃষকরা খড় পোড়ানোর ফলে প্রতি শীতে দিল্লি ও আশেপাশের অঞ্চলে এই সংকট দেখা দেয়। উভয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই দূষণ রোধে কেন্দ্রীয় সরকারকে নেতৃত্ব দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। সম্প্রতি এক ভিডিও ভাষণে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা দূষণ রোধে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলাম। সবাই একত্রিত হয়েছিল এই প্রক্রিয়ায়। তা সত্ত্বেও কেন আমরা এই ঝক্কি নেবো? সবাই সম্মিলিতভাবে বসে আলোচনা করুন। পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় ২৭ লাখ কৃষক রয়েছেন। আমরা কিভাবে তাদের সবার কাছে পৌঁছাবো? এই সমস্যার সমাধান করতে আমাদের আরও কত বছর সময় লাগবে? এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা দরকার।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দিল্লিতে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে জোড়-বিজোড়-রোড রেশন স্কিম। এটি চলবে আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। এই নিয়ম অনুযায়ী, একদিন পর একদিন দিল্লির রাস্তায় চলবে জোড়-বিজোড় রেজিস্ট্রেশন প্লেটযুক্ত যানবাহনগুলো। সূত্র: জি নিউজ, এনডিটিভি।