পদত্যাগ ছাড়া সব দাবি মানতে রাজি ইমরান খান

পাকিস্তানে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিক্ষোভকারীদের সব দাবি মেনে নিতে রাজি আছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কেবল পদত্যাগের দাবি মানতে নারাজ তিনি। মঙ্গলবার আজাদি মার্চের নেতাদের আবারও তিনি এই কথা বলেছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নিউজউইক পাকিস্তানের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।  

PM-Imran-Khan

অর্থনৈতিক দুর্ভোগের অভিযোগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পদত্যাগের দাবিতে গত সপ্তাহে বিক্ষোভের ডাক দেয় দেশটির প্রভাবশালী ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল জমিয়তে উলেমা-ই-ইসলাম। দলটির প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে রাজধানী ইসলামাবাদে ‘আজাদি মার্চে’ অংশ নিচ্ছেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। পরে আন্দোলনে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের অনুসারীসহ অন্যান্য সমমনা ধর্মীয় দলও এতে যোগ দিয়েছে। দাবি আদায়ে ইসলামাবাদের রাজপথে ধর্নায় বসেছেন বিক্ষোভকারীরা।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ইমরান  খাননের বাসভবনে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পারভেজ খাত্তাকের নেতৃত্বাধীন একটি দল আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয়। সেই দলের নেতৃত্ব দেন জমিয়তের উলামা ইসলামের প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান। সম্প্রচারমাধ্যম জিও নিউজ জানায়, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সব ‘যৌক্তিক’ দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে সংবিধানের সঙ্গে তার সামঞ্জস্য থাকতে হবে।  তবে তার পদত্যাগ নিয়ে কোনও সমঝোতা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

রাহবার কমিটি নামে আলোচনার ওই কমিটি বিষয়টি পর্যালোচনা করবে। মঙ্গলবার পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিক্ষোভকারীরা ৪টি মূল দাবি জানিয়েছে; প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পদত্যাগ ও নির্বাচন, পাকিস্তানি নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচন পরিচালনা, কোনও সামরিক হস্তক্ষেপ বিহীন নির্বাচন ও সংবিধানের যথাযথ বাস্তবায়ন। ফলে ইমরান খান পদত্যাগের  বাইরে অন্য দাবিগুলো মেনে নিলে কী ঘটবে তা স্পষ্ট নয়। কারণ নির্বাচনের দাবি মেনে নিয়ে তাকে পদ ছাড়তেই হবে বলে জানায় নিউজউইক।   

এর আগে সোমবার ইসলামাবাদে বিরোধী দলগুলোর এক সর্ব দলীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে  সর্বসম্মতভাবে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত শুক্রবার ইমরান খানকে পদত্যাগে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন জমিয়তে উলেমায়ে ইসলাম নেতা মাওলানা ফজলুর রহমান। রবিবার সেই সময়সীমা শেষ হলে তিনি জানান সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর বিরোধীদের আলোচক দল রাহবার কমিটি নতুন আল্টিমেটামের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।