পদত্যাগ করলেন জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার প্রধান

অসদাচরণের অভিযোগের তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করেছেন জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার প্রধান পিয়ারে ক্রাহেনবুল। তার স্থানে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ক্রিস্টিয়ান স্যান্ডার্স। বুধবার জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক ত্রাণ ও কর্মসংস্থান সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়। তবে বিবৃতিতে ওই অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য জানানো হয়নি।

Capture

এবছরের জুলাইয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার হাতে আসে ইউএনআরডব্লিউএ’র এক গোপনীয় অভ্যন্তরীণ নৈতিক প্রতিবেদন। এতে ক্রাহেনবুল ও ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত স্বার্থে অসাদাচরণ, স্বজনপ্রীতি, প্রতিশোধসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়। সংস্থাটির বৃহত্তম দাতা দেশ যুক্তরাষ্ট্র তাদের অনুদান কমিয়ে দেওয়ার পর সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া নির্দিষ্ট কিছু মানুষের মধ্যে সীমিত হয়ে পড়লে এই সুযোগ পান তারা। প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব মানুষের কর্মকাণ্ড জাতিসংঘের সুনামকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে বলে উল্লেখ করে তাদের দ্রুত সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার সুপারিশ করা হয়।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য ভারপ্রাপ্ত কমিশনার জেনারেল হিসেবে ক্রিস্টিয়ান স্যান্ডার্সকে নিয়োগ দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি আগে ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি কমিশনার জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বর্তমানে পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা, পূর্ব জেরুজালেম ও এর পার্শবর্তী দেশ জর্ডান, লেবানন ও সিরিয়ায় বসবাসরত নিবন্ধিত ৫০ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন ও ত্রাণ পরিষেবা দিচ্ছে ইউএনআরডব্লিউএ। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পেশাদারিত্ব, স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করতে গত কয়েক মাস ধরে এর (ফিলিস্তিনি প্রকল্প) পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা ও জবাবদিহিতার অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা শুরু করেছে ইউএনআরডব্লিএ।’

গত বছর থেকে বাজেটগত জটিলতায় (ঘাটতি) আছে ইউএনআরডব্লিউএ। ইসরায়েলবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে এ সংস্থার সবচেয়ে বড় দাতা দেশ যুক্তরাষ্ট্র, তাদের বার্ষিক ৩ হাজার ৬৪ কোটি ২৯ লাখ টাকার সহায়তা গত বছর স্থগিত করার পর তারা এ জটিলতার মুখোমুখি হয়। তদন্তাধীন ব্যবস্থাপনা ইস্যুকে কেন্দ্র করে ইউএনআরডব্লিউএ’তে সহায়তার অর্থ স্থগিত করেছে সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়াম। ওই সংস্থার মুখপাত্র বলেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ ওই প্রকল্প চালিয়ে যেতে প্রায় ৭৫৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার প্রয়োজন।