জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে খাদ্য ঝুঁকিতে আফ্রিকার ৫ কোটি মানুষ

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, দারিদ্র ও সশস্ত্র সহিংসতার কারণে আফ্রিকার ১৮টি দেশের ৫ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ খাদ্য ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তারা জানায়, এই দেশগুলোতে ৭০ কোটি ডলার ক্ষতিও হয়েছে।

Capture

সুনির্দিষ্ট সময় পর পর প্রাকৃতিক ধারাবাহিকতায় বদলে যায় জলবায়ু। মানুষ সৃষ্ট কারণেই এই স্বাভাবিক বদলের ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হয়েছে,বিশ্ব বহুদিন থেকে এক আকস্মিক পরিবর্তনের মুখোমুখি। বিজ্ঞানীরা প্রমাণ পেয়েছেন, শিল্পবিপ্লব পরবর্তী যুগে উন্নত দেশগুলোর মাত্রাতিরিক্তি জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বৈশ্বিক উষ্ণতার মাত্রাকে ভয়াবহ পর্যায়ে নিয়ে গেছে। উষ্ণায়নের কারণে গলছে হিমবাহের বরফ,উত্তপ্ত হচ্ছে সমুদ্র, বাড়ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ,ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক ঋতুচক্র। দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষি,স্থানচ্যুত হচ্ছে মানু্ষ। অভিবাসী কিংবা শরণার্থীতে রূপান্তরিত হচ্ছে তারা।

অক্সফাম জানায়, এই তালিকায় জিম্বাবুয়ে, জাম্বিয়া, অ্যাঙ্গোলা, মালাউই, মোজাম্বিক, মাদাগাস্কার ও নামিবিয়া রয়েছে। অক্সফামের সহযোগী সংগঠন পিএসিজেএ এর প্রধান নির্বাহী মিথিকা মুয়েন্দা বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকারা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যেকোনও কিছু প্রস্তুত। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার অনেক সময় ব্যর্থ হয়। বেসরকারি সংস্থাগুলোও তাদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রতিবেদনে জিম্বাবুয়ের ব্যাপারে বলা হয়, ১৯৮১ সালের পর থেকে সেখানে সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাতের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে ৫৫ লাখ মানুষ চরম খাদ্য ঝুঁকিতে পড়েছে।  জাম্বিয়াতে এই সংখ্যা ২৩ লাখ। এছাড়া আফ্রিকার কেনিয়া, ইথিওপিয়া, সোমালিয়াতেও দুর্ভিক্ষ রয়েছে।

প্রতিবদেন বলা হয়, ভারত সাগরের রেকর্ড তাপমাত্রায় কেনিয়া ও দক্ষিণ সুদানে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে সেখানে আকস্মিক বন্যা দেখা যচ্ছে। বিশেষ করে নদী অঞ্চলগুলোতে। দক্ষিণ সুদানের বন্যারা কারণে ৯ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।