অস্ট্রেলিয়ায় দাবানলে ঘরবাড়ি ছাড়লেন হাজারো মানুষ, প্রাণহানি

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়ালেস ও কুইন্সল্যান্ডে নতুন করে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। আগুনের ভয়াবহতায় ইতোমধ্যেই ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন উপদ্রুত এলাকার হাজার হাজার মানুষ। মারা গেছেন অন্তত তিন জন। রবিবার এই দাবানলকেন্দ্রিক জরুরি অবস্থা তৃতীয় দিনে পৌঁছেছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।noname
প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, দুই রাজ্যে আক্রান্ত মানুষের সহায়তায় কাজ করছে দমকল বাহিনীর এক হাজার ৩০০ সদস্য। তাদের সহায়তা দেবে সেনাবাহিনী। এছাড়া আক্রান্তদের সহায়তায় স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করবেন শত শত বেসামরিক নাগরিক।

দাবানলের তাণ্ডবে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতিও সহমর্মিতা জানিয়েছেন অসি প্রধানমন্ত্রী।

অস্ট্রেলিয়ায় সাধারণত গ্রীষ্মকালে তাপদাহের কারণে জঙ্গলে দাবানল পরিলক্ষিত হয়। স্থানীয়রা একে বলে থাকে বুশফায়ার। এই দাবানল কতটা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে, টেলিভিশনের পর্দায় মাঝেমধ্যেই উঠে আসে তার করুণ চিত্র। আগুনের এই রোষের মুখে অসহায় হয়ে পড়ে মানুষ। কখনও সংলগ্ন এলাকা থেকে মানুষজনকে উদ্ধার করা অথবা দাবানলের পথে গাছ কেটে আগুন থামানোর চেষ্টাতেই অবলম্বন খোঁজেন স্থানীয়রা। সরকারিভাবে বিমান থেকে বিশেষ তরল মিশ্রণ ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টাও করা হয়। তবে সে প্রচেষ্টা সব সময় সফল হয় না। তবে বুশফায়ার বা দাবানলপ্রবণ এলাকায় জনবসতি তুলনামূলক কম থাকে। ফলে লোকজনের প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও কিছুটা কম হয়। কিন্তু প্রচুর গাছ ও জীবজন্তুর প্রাণহানি ঘটে।