গাজায় হামলা অব্যাহত রাখার হুঁশিয়ারি ইসরায়েলের

ইসরায়েল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা অব্যাহত রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, রকেট হামলা বন্ধ না হলে ইসরায়েল কোনও দয়া দেখাবে না। তারা হামলা চালিয়েই যাবে।

thumbs_b_c_6941f7956c066e1ffab5dd4d79137817

মঙ্গলবার ফিলিস্তিনের গাজা  উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে এ পর্যন্ত ২২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬৯ জন। হামলায় সেখানকার সশস্ত্র স্বাধীনতাকামী সংগঠন ইসলামিক জিহাদের অন্যতম শীর্ষ নেতা আবু আল আত্তা (৪২) ও তার স্ত্রীকে হত্যা করে দখলদার বাহিনী। অন্যদিকে সিরিয়ায় হামলা চালিয়ে  হত্যা করা হয় তাদের ছেলেকেও। এই আগ্রাসনের জবাবে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোর থেকে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট ছোড়া শুরু হয়। পরে দেশটির দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে বিমান হামলার সতর্ক সংকেত বাজানো হয়।   

নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল আপাতত থামার পরিকল্পনা করছে না। তারা যেকোনও হামলার জবাব দেবে।    

দুই পক্ষের সহিংসতায় ১৫১ জন ইসরায়েলি আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলের সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবা রেডস্টর অব ডেভিস। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র আশরাফ আল কিদরা জানিয়েছেন, তখন থেকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২২ জন নিহত এবং ৬৯ জন আহত হয়েছেন।

গত দশকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে তিনটি যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ করে ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জায়নবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েল। ১৯৬৭ সাল থেকে ফিলিস্তিনের গাজা ভূখন্ডকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল। ২০০৫ সালে সেখান থেকে বসতি উচ্ছেদ করে সেনা মোতায়েন করে তারা। পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে অবৈধভাবে নির্মিত বসতিতে লাখ লাখ ইসরায়েলি বসবাস করে। তারপরও দখলদারিত্ব সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। এই দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনতার প্রতিরোধকে সন্ত্রাসবাদ হিসেবে আখ্যায়িত করে ইসরায়েল। নিরাপত্তার অজুহাতে স্থল সীমান্তে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে মিশর এবং ওই ছিটমহলকে নৌ অবরোধ করে রেখেছে তেল আবিব।