যুক্তরাষ্ট্রে কমেছে ধূমপান প্রবণতা

যুক্তরাষ্ট্রে সর্বনিম্ন পর্যায়ে এসেছে ধূমপানের প্রবণতা। দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিকার কেন্দ্রের (সিডিসি) ২০১৮ সালের হিসেবে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে ধূমপায়ীর সংখ্যা ১৩.৭ শতাংশ যা বিগত বছরগুলোর তুলনায় সর্বনিম্ন।

Saying-no-301x200

১৯৬৫ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ধুমপায়ীদের ডেটা সংগ্রহ করা শুরু করে সিডিসি।  এবারই প্রথমবারের মতো এত কম সংখ্যক ধূমপায়ী পেয়েছে তারা। দেশটিতে বর্তমানে ৪ কোটি ৯১ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিন নাগরিক বা ৫ জনের মধ্যে প্রায় ১ জন তামাকজাতীয় পণ্য ব্যবহার করেছেন।

সংস্থাটির পরিচালক ড. রবার্ট আর রেডফিল্ড বিবৃতিতে জানান, যুক্তরাষ্ট্রে ধূমপানের এই উল্লেখযোগ্য হ্রাস জনগোষ্ঠী এবং আমাদের বহু অংশীদারদের একটি ধারাবাহিক ও সমন্বিত প্রচেষ্টার অর্জন। তবে এখনো কাজ শেষ হয়নি।

সিডিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালে ধুমপানের জন্য ব্যবহৃত অন্যতম পণ্য ছিলো ই-সিগারেট। যা প্রায় ৩.২ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্করা ব্যবহার করেছে। বেশ কয়েক বছর আগে এর পরিমান কমে গেলেও ২০১৭ সালের পর থেকে তা আবারও বাড়তে শুরু করে। বর্তমানে ১৮ থকে ২৪ বছর বয়সিদের মধ্যে এর ব্যবহার বেশি লক্ষ্য করা যায়। ২০১৭ সালের চেয়ে ই সিগারেটে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে ২ দশমিক ৮ শতাংশ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের মাঝে ধুমপানের প্রবণতা বেশি। এছাড়া সমকামী এবং উভয়কামী প্রাপ্তবয়স্কসহ কিছু সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সদস্য, প্রতিবন্ধী এবং মারাত্মক মানসিক সমস্যা নিয়ে যারা বেঁচে আছেন, তারাই ধুমপানে বেশি আসক্ত। সংস্থাটি জানিয়েছে, সিগারেট ধুমপায়ীরা তাদের অভ্যাস ত্যাগ করতে সময় নিচ্ছে ৬ মাস থেকে ১ বছর। সম্পাদনা

এছাড়া বিগত ১২ মাসের চেয়ে ধূমপান ছেড়ে দেওয়া ব্যক্তির সংখ্যাও বেশি। এবং তাদের মধ্যে অনেকে সফলও।