পাকিস্তানে সন্ত্রাসের ডিএনএ রয়েছে: ভারত

ইউনেস্কোর সম্মেলনে ভারতের পক্ষ থেকে মন্তব্য করা হয়েছে, ‘পাকিস্তানে সন্ত্রাসের ডিএনএ রয়েছে’। দিল্লির দাবি, আর্থিক দিক থেকে বিপর্যয়ের মুখে থাকা ইসলামাবাদ তার ‘খ্যাপাটে আচরণের’ (নিউরেটিক বিহেভিয়ার) কারণে পতনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং ক্রমশঃ ব্যর্থ রাষ্ট্রে রূপান্তরিত হচ্ছে।

noname

প্যারিসে ইউনেস্কোর সাধারণ সম্মেলনে ভারতীয় প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে রয়েছেন অনন্যা আগরওয়াল। বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, ‘কট্টর মতাদর্শ থেকে শুরু করে মৌলবাদ ও সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর পাকিস্তান। এটা অত্যন্ত হতাশাজনক যে ইউনেস্কোর মতো মঞ্চের অপব্যবহার করে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে বিষেদগার করছে।’ তিনি মনে করিয়ে দেন, দুর্বল রাষ্ট্রের তালিকায় দেশটি গত বছর ১৪তম অবস্থানে ছিল।

এ বছর আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার। লাদাখ ও কাশ্মিরকে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে পার্লামেন্টে বিল পাস হয়। এ পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরজুড়ে মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক অতিরিক্ত সেনা। গ্রেফতার ও গৃহবন্দি করা হয় সেখানকার শত শত নেতাকর্মীকে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনায় ভারতীয় সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান নেয় ইসলামাবাদ। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা যুদ্ধাবস্থায় রূপ নেয়।

সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছিলেন,  দিল্লি-ইসলামাবাদ সংঘাত হলে তার প্রভাব দুই দেশের সীমান্ত ছাড়িয়ে যাবে। সেই প্রসঙ্গ টেনে অনন্যা বলেন, পাকিস্তানের নেতারা জাতিসংঘকে ব্যবহার করে পরমাণু-যুদ্ধের প্রচার চালান এবং অন্য দেশের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরার কথা বলেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আমি যদি এই সম্মেলনে বলি যে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মোশাররফ সম্প্রতি ওসামা বিন লাদেনের মতো জঙ্গিকে পাকিস্তানের নায়ক বলেছেন, কেউ বিশ্বাস করবে!’

অনন্যার দাবি, নিজ দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার ধুলোয় মিশে গেলেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তান ভারতকে ক্রমাগত কলঙ্কিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার কথায়, কোনও রাষ্ট্র যেন এই ধরনের মঞ্চের অপব্যবহার করতে না পারে,  ইউনেস্কোর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সেটা বিবেচনায় নেওয়া উচিত।