শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ‘চীন-ঘনিষ্ঠ’ রাজাপক্ষে

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে এগিয়ে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী গোটাবায়া রাজাপক্ষে। চীন-ঘনিষ্ঠ এই প্রার্থী এরইমধ্যে নিজেকে জয়ী দাবি করেছেন। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) প্রার্থী সাজিথ প্রেমাদাসা পরাজয় স্বীকার করেছেন। তবে নির্বাচনি কর্তৃপক্ষ এখনও আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেনি।

Capture

২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ সিরিজ বিস্ফোরণে নিহত হন অন্তত ২৫৮ জন। সন্ত্রাসী হামলার পর সমালোচনার মুখে প্রার্থী না হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। এই পরিস্থিতিতে শনিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে লাখ লাখ মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নতুন প্রেসিডেন্ট এই সংকট থেকে দেশকে বের করে নিয়ে আসবেন বলে আশা তাদের।

২০০৯ সালে গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এটি শ্রীলঙ্কার তৃতীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। কমিশন সূত্রকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, নির্বাচনে ৮০ ভাগ ভোটার ভোট দিয়েছেন। এরমধ্যে রাজাপক্ষে ৫০ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। প্রেমাদাসা পেয়েছেন ৪৩ ভাগ ভোট। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মোট ৩৫ জন প্রার্থী ছিলেন।

বিশ্লেষকরা বলেছেন, রাজাপক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ সিংহলিদের ভোটে জয়ী হয়েছেন আর তামিল অধ্যুষিত উত্তরাঞ্চলে এগিয়ে রয়েছেন তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রেমাদাসা। রাজাপক্ষের মুখপাত্র বলেছেন, ‘চূড়ান্ত ফলাফলে ৫৩ বা ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হওয়ার প্রত্যাশা করছেন তিনি (রাজাপক্ষে)। আর এটা প্রকাশ্যে স্বীকার করে নিয়েছেন প্রেমাদাসা।’

প্রেমাদাবাস বলেছেন, ‘জনগণের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে শ্রীলঙ্কার সপ্তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় গোটাবায়া রাজাপক্ষেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘কোনও নাগরিক বা নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কোনও সমর্থক যেন আমাকে সমর্থনের জন্য ক্ষতির শিকার না হয় এবং নির্বাচন-পরবর্তী শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে রাজাপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

প্রাথমিক ফলাফলের পর এক টুইটবার্তায় জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন রাজাপক্ষে। তিনি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার সব অধিবাসী এই জয়ের অংশীদার।’