সিরিয়ায় ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১১

সিরিয়ায় বুধবার ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১১ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সাতজনই ইরানি নাগরিক। যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবরজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ডেইলি সাবাহ।13
সিরিয়ান অবজারভেটরি জানিয়েছে, সিরিয়ায় ইরানের এলিট ফোর্স কুদস বাহিনীর বিভিন্ন অস্ত্রাগার ইসরায়েলি বিমান হামলার শিকার হয়েছে। এসব অস্ত্রাগারের অবস্থান দামেস্কের উপকণ্ঠে। এছাড়া পশ্চিম দামেস্কের একটি বিমান ঘাঁটিও এদিন আক্রান্ত হয়েছে।

বুধবার সিরিয়ার বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা এবং দেশটিতে মোতায়েন ইরানি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে এসব হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আভিচে আদ্রে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ইসরায়েলের দাবি, মঙ্গলবার সিরিয়া থেকে তাদের ভূখণ্ডে রকেট নিক্ষেপের জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। তবে সিরিয়ার দাবি, ইসরায়েলি জঙ্গি বিমান থেকে নিক্ষেপ করা বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে দিতে সক্ষম হয়েছে সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী।

টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে ইসরায়েলি বাহিনীর মুখপাত্র আভিচে আদ্রে জানান, তার দেশের জঙ্গিবিমান সিরীয় ভূখণ্ডে দেশটির সেনাবাহিনী ও ইরানি কুদস বাহিনীর বহু সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, সদর দফতর, সামরিক সরঞ্জাম ও সামরিক ঘাঁটির মতো স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে। আগের দিন সিরীয় ভূখণ্ড থেকে ইরানের নিক্ষেপ করা রকেটের জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে।

তার দাবি, প্রকৃতপক্ষে ইসরায়েলে হামলা চালাতেই সিরিয়ায় নিজের উপস্থিতি ধরে রেখেছে ইরান। ইসরায়েলে তাদের রকেট হামলাই এর প্রমাণ। সিরিয়ায় তাদের অবস্থান সিরিয়া সরকার, ইসরায়েল ও পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।