অভিশংসন শুনানি শেষ বলে দাবি ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন শুনানিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নে নিযুক্ত রাষট্রদূত গর্ডন সোন্দল্যান্ডের পর এই প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেছে বলে দাবি ট্রাম্পের। এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘অভিশংসনের শুদ্ধি অভিযান আসলে শেষ।’

thumbs_b_c_6c9fadc87c48d96cbba427848d23f72e

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ট্রাম্পের ওই ফোনালাপ ফাঁস হলে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে ঝড় উঠে। ফাঁস হওয়া ফোনালাপে দেখা যায়, সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে রীতিমতো চাপ দিচ্ছেন ট্রাম্প। ওই ফোনকলের অনুলিপিও গোপন করতে চেয়েছিল হোয়াইট হাউস। তবে শেষ পর্যন্ত ওই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। হোয়াইট হাউসের ফোনকলের প্রতিলিপিতে দেখা গেছে, ট্রাম্প গত ২৫ জুলাই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে এই তদন্তের জন্য বারবার চাপ দিচ্ছিলেন। ওই ফোনালাপের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংস্থার একজন সদস্য আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করার পর ট্রাম্পের অভিশংসনের দাবি সামনে আসে। ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্সি থেকে সরাতে তদন্ত শুরু করে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট দলীয় সদস্যরা। তবে এই তদন্তকে ন্যাক্কারজনক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ট্রাম্প।

বুধবার শুনানিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন সোন্দল্যান্ড। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্টের নির্দেশেই তিনি ইউক্রেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সোন্দল্যান্ড একজন ধনী ব্যবসায়ী ও ট্রাম্পের সমর্থক। বুধবার প্রতিনিধি পরিষদের কমিটির সামনে শুনানিতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ইউক্রেনকে সহায়তার ব্যাপারে অবগত ছিলেন ও তিনি পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন। তিনি ট্রাম্পের নির্দেশেই তার ব্যক্তিগত আইনজীবী রুডি গিলানির সঙ্গে ইউক্রেনের বিষয়ে কাজ করেছিলেন।

সোন্দল্যান্ড ট্রাম্পেকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে ইউক্রেনের ব্যাপারে তিনি কি করতে চান। জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি কিছুই চাই না। বিনিময়ে কিছুই না। শুধু জেলেন্সকিকে সঠিক কাজ করতে বলেন।’

ট্রাম্প এই বক্তব্যকে সামনে এনে বলছেন, তার পক্ষে এমন বক্তব্যের পর আর কোনও শুনানি থাকতে পারে না। সোন্দল্যান্ড বলেন, ট্রাম্প সরাসরি তাকে এই বিষয়ে কিছু বলেননি। তিনি বলেন, সামরিক সহায়তা হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণের বিনিময়ে তদন্ত কার্যক্রম চালানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।  

সোন্দল্যান্ড বলেন, ‘আমি জানি কমিটি বারবার একই প্রশ্ন করবে যে কোনও কুইড প্রো কু (কিছু দেওয়ার বিনিময়ে কিছু আদায় করে নেওয়া) ছিলো কি না। আমি বলতে চাই এমন কিছু ছিলো। তিনি বলেন, আমরা যদি গিলানির সঙ্গে কাজ না করতাম তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের এমন সম্পর্ক থাকতো না। তাই আমরা প্রেসিডেন্টের নির্দেশ পালন করি। আমরা জানতাম এই তদন্ত তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।