রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ

আইসিজে-তে লড়তে সরকারকে সহায়তা দিচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী

রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের ঘটনায় আন্তর্জাতিক আদালতে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় মিয়ানমার সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতা করছে সেনাবাহিনী। ওই মামলার শুনানি হবে ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর। আর মামলায় মিয়ানমারের পক্ষে লড়বেন ডি ফ্যাক্টো নেত্রী ও দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি নেতৃত্বাধীন একটি দল। আর এতে সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এই ঘোষণা দেন এ বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ্য মিন তুন।

Capture

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর পর পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরদার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। খুন, ধর্ষণ, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের বাস্তবতায় জীবন ও সম্ভ্রম বাঁচাতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা। নৃশংস এ বর্বরতাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে গত ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)-এর কাছে বিচার চায় গাম্বিয়া। ৫৭টি মুসলিম দেশের সংগঠন ওআইসি-এর পক্ষ থেকে এই মামলা দায়ের করে গাম্বিয়া। মামলায় বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা চালিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এটি ১৯৪৮ সালের ইউএন জেনোসাইড কনভেনশনের লঙ্ঘন।

আইসিজে-র মামলা লড়তে সরকারকে পুরোপুরি সমর্থন দিচ্ছে সেনাবাহিনী উল্লেখ করেন জ্য মিন তুন। হেগ-এর আদালতে সেনাবাহিনীকে উপস্থাপন করা হবে কীনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা নির্ভর করছে সরকারের নির্দেশনার ওপর।’ এই মামলাকে আশীর্বাদ হিসেবে নিয়েছে তারা উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন, এর মাধ্যমে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকারি ব্যাখ্যা দেওয়ার সুযোগ পাবে সেনাবাহিনী।

এর আগে বৈশ্বিক বিচার কেন্দ্র জানিয়েছে, স্টেট কাউন্সিলর ও বেসামরিক সরকার রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়েছে। এ ব্যাপারে সেনাবাহিনীকে জবাবদিহি করতে কোনও পদক্ষেপও নেয়নি তারা।