ইরাকে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ৪ বিক্ষোভকারী নিহত

ইরাকের রাজধানী বাগদাদে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে চার বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। এছাড়া বসরা শহরের কাছে মূল বন্দর অবরোধ করে রাখা বিক্ষোভকারীদের  সরিয়ে দিতে বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। শুক্রবার পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে এখবর জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে এদিন কোনও বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার খবর অস্বীকার করেছে ইরাকি কর্তৃপক্ষ।

কর্মসংস্থানের সংকট, নিম্নমানের সরকারি পরিষেবা এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত ১ সেপ্টেম্বর বাগদাদের রাজপথে নামে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দলের অনুসারী না হয়েও অনিয়মের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের আওয়াজ নিয়ে রাজপথে নামে তারা। নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার গ্যাস ও গুলি চালিয়ে তাদের ওপর চড়াও হলে এই বিক্ষোভ আরও জোরালো হয়ে ওঠে, ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন শহরে। বিশেষ করে শিয়া অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এখন পর্যন্ত এই বিক্ষোভে অন্তত ৩৩০ জন নিহত হয়েছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার বাগদাদের কেন্দ্রীয় সেতুর ওপর জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস ও গুলি বর্ষণ করে নিরাপত্তা বাহিনী। এতে দুই ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে আর সরাসরি মাথায় টিয়ারগ্যাসের কৌটার আঘাত লেগে অপর দুই ব্যক্তি নিহত হয়। এছাড়া আহত হয় আরও অন্তত ৬১ জন। তবে ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর সামরিক মুখপাত্র কোনও বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার খবর অস্বীকার করেছেন।

রাজধানী বাগদাদ ছাড়াও শুক্রবার ইরাকের মূল বন্দর উম কাসরের প্রবেশ পথ অবরোধ করে রাখা বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। সোমবার থেকে ওই পথটি অবরোধ করে রাখা হয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাস্তা খুলে দেওয়া হলেও বন্দরের কার্যক্রম এখনও স্বাভাবিক হয়নি।

এদিকে শুক্রবার ইরাকের নির্বাচনি আইন দ্রুত সংস্কার করতে রাজনীতিবিদদের তাগিদ দিয়েছেন দেশটির শীর্ষ শিয়া মুসলিম নেতা আয়াতুল্লাহ আলি আল সিসতানি। তিনি বলেন, এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়েই কেবল প্রাণঘাতী বিক্ষোভের অবসান ঘটতে পারে।