ইয়েমেনে সৌদি জোটের বিমান হামলা ৮০ শতাংশ কমেছে: জাতিসংঘ

গত দুই সপ্তাহে ইয়েমেনে সৌদি জোটের বিমান হামলা প্রায় ৮০ শতাংশ কমে গেছে বলে জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের দূত মার্টিন গ্রিফিথস। শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদে তিনি বলেন, এভাবে উত্তেজনা কমতে থাকলে ইয়েমেন সামগ্রিক যুদ্ধবিরতির দিকে এগিয়ে যাবে।noname

২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী সানা দখলে নেয় ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে নির্বাসনে যেতে বাধ্য হন হাদি। হুথিদের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই হাদির অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। ২০১৫ সালের মার্চে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মিত্রদের নিয়ে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। সৌদি জোটের অভিযান শুরুর পর স্কুল, বাজার ও হাসপাতালে বোমা হামলায় শিশুসহ এক লাখেরও বেশি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে প্রায় এক কোটি মানুষ।

শুক্রবার জাতিসংঘ দূত মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গত কয়েক সপ্তাহে প্রথমবারের মতো কোনও বিমান হামলা ছাড়া পুরো ৪৮ ঘণ্টা মেয়াদও পার হয়েছে। তিনি বলেন, উত্তেজনা নিরসনে এই অগ্রগতি অব্যাহত থাকলে তা ইয়েমেনে সামগ্রিক যুদ্ধবিরতিতে ভূমিকা রাখবে।

ইয়েমেনে সামগ্রিক যুদ্ধবিরতি কার্যকরে সৌদি আরব ও হুথি কর্মকর্তারা গত সেপ্টেম্বর থেকে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। ওই আলোচনায় বারবারই উত্তেজনা নিরসনের কথা এসেছে।

গত বছর ইয়েমেনের প্রধান বন্দর শহর হোবাইদায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরে সম্মত হয় দুই পক্ষ। তবে তা সফল হয়নি। দুই পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে তা লঙ্ঘনের অভিযোগ করে আসছে। শুক্রবার জাতিসংঘের দূত জানান, গত কয়েক সপ্তাহে ওই বন্দর শহরে জাতিসংঘ পর্যবেক্ষকদের মোতায়েনের পর সৌদি জোট ও হুথি বিদ্রোহীদের বিচ্ছিন্ন লড়াইও ৮০ শতাংশ কমে গেছে।