লেবাননে সরকার গঠনে বাধা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: হিজবুল্লাহ

লেবাননে আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরির পদত্যাগের পর সরকার গঠনে যুক্তরাষ্ট্র বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে হিজবুল্লাহ। দেশটির রাজনৈতিক ও অর্থনেতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে ওয়াশিংটন। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ইরান সমর্থিত ওই সশস্ত্র গোষ্ঠীর উপপ্রধান শেখ নাঈম কাসেম ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, লেবাননে যুক্তরাষ্ট্রের অনুগত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে জনগণের সরকার গঠনে বাধা দিচ্ছে তারা।

Capture

২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর হোয়াটসঅ্যাপ এবং একই ধরনের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসগুলোতে কর আরোপ প্রস্তাবের প্রতিবাদে লেবাননে বিক্ষোভ শুরু করে আন্দোলনকারীরা। এই প্রতিবাদের সঙ্গে যুক্ত হয় অর্থনৈতিক সংকট, বৈষম্য ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ। হোয়াটসঅ্যাপে কর বাতিলের আন্দোলন পরিণত হয় তীব্র সরকারবিরোধী আন্দোলনে। জনগণের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়া ও জীবনমানের অবনতির জন্য সরকারের পদত্যাগের দাবিতে তীব্র বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি। এরপর সেখানে নতুন সরকার গঠনের লক্ষ্যে দেশটির শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের প্রচেষ্টা এখন পর্যন্ত সফলতার মুখে দেখেনি। হিজবুল্লাহর দাবি, মার্কিনপন্থী রাজনীতিবিদদের কারণে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া আটকে আছে।

শুক্রবার শেখ নাঈম কাসেম বলেন, ‘আমেরিকা লেবাননে তাদের অনুগত একটি সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায়, তবে আমরা চাই এদেশের জনগণের কাছে জবাবদিহিতামূলক একটি সরকার গঠিত হোক।’ এ সময় তিনি আরও বলেন, লেবাননের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগোযোগ রক্ষা করছে ওয়াশিংটন। আমেরিকাকে এ ধরনের হস্তক্ষেপমূলক তৎপরতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে হিজবুল্লাহ নেতা বলেন, ‘হস্তক্ষেপ বন্ধ করে আমাদেরকে আমাদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতে দিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র যত বেশি হস্তক্ষেপ করবে লেবাননে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া তত বেশি পিছিয়ে যাবে।’

প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পর গত মঙ্গলবার লেবাননের পার্লামেন্ট অধিবেশন আহ্বান করা হয়েছিল। তবে একদল বিক্ষোভকারী পার্লামেন্ট ভবন ঘিরে রাখে এবং সেখানে সংসদ সদস্যদের প্রবেশে বাধা দেয়। পরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ হয় এবং পার্লামেন্ট অধিবেশন আবারও মুলতবি হয়ে যায়।