ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞ প্যানেলে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা

দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও অ্যাকাডেমিকদের একটি প্যানেলে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করা হয়েছে। সম্প্রতি লন্ডনে জম্মু-কাশ্মির স্টাডি সেন্টারের ‘রিইমাজাইনিং পাকিস্তান: অ্য গ্লোবাল পার্সপেক্টিভ’ নামের এক আলোচনায় বুদ্ধিজীবীরা বলেছেন, পাকিস্তানের ১৯৪৭ সালের ‘জিহাদ কৌশল’ থেকে সফলভাবে মুক্ত হতে পেরেছে বাংলাদেশ।

noname

আলোচনায় লেখক ডেভিড ভ্যান্স বলেছেন, ‘উন্নয়নের ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছে বাংলাদেশ।’ ইসলামাবাদকে ‘হাঙ্গর’ আখ্যা দিয়ে আলোচকরা বলেছেন, ‘প্রতিবেশীদের অস্তিত্বের জন্য পাকিস্তান একটি হুমকি। যুক্তরাজ্যের উচিত ইসলামাবাদে সব ধরনের অনুদান বন্ধ করে দেওয়া।’

দক্ষিণ এশিয়ায় রাজনৈতিক বহুত্ববাদের সমর্থনকারী স্বাধীন গ্রুপ লিবার্টি সাউথ এশিয়ার সেথ ওল্ডমিক্সন বলেন, পাকিস্তান জিহাদি মতাদর্শের মধ্যে  নিমজ্জিত হয়ে গেছে। সেখান থেকে বের হয়ে এসে দেশটির পুনঃনির্মাণ জরুরি।’

জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক নিরাপত্তা বিভাগের প্রফেসর ড. ক্রিস্টাইন ফেয়ার জানিয়েছেন, প্যানেল আলোচনাটি বাতিল করতে জোর তৎপরতা চালিয়েছিল লন্ডনের পাকিস্তানি হাইকমিশন। তিনিও পাকিস্তানে সব ধরনের সহযোগিতা বন্ধে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

পাকিস্তানের নির্বাসিত সাংবাদিক ও সেইফ নিউজরুমস ডট অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা তাহা সিদ্দিকীসহ অন্যান্য প্যানেল সদস্যরা সে দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর ওপর চাপের বিষয়টি তুলে ধরেন।