মার্কিন জাহাজ ও বিমান প্রবেশের অনুরোধ বাতিল চীনের

হংকংয়ে চীনবিরোধী আন্দোলন সমর্থন করায় যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর জাহাজ ও বিমান হংকংয়ে প্রবেশ বাতিল করেছে বেইজিং। এছাড়া বেশ কয়েকটি মার্কিন মানবাধিকার সংস্থার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

_109973674_gettyimages-1138258035

বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন একটি বিলে স্বাক্ষর করেছেন যা হংকংয়ে চলমান চীনবিরোধী আন্দোলনে গণতন্ত্রীপন্থী বিক্ষোভকারীদেন সমর্থন দেবে। দ্য হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি নামের ওই আইনে বলা হয়, হংকংয়ের স্বায়ত্বশাসন কি বিশেষ মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য কি না তা খতিয়ে দেখবে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প বলেন, তিনি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, চীন ও হংকংয়ের নাগরিকদের কথা ভেবে এই আইন করেছেন। তবে আইন প্রণয়ণের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। ক্ষুব্ধ বেইজিং ঘোষণা দেয়, ‘কঠোর পাল্টা পদক্ষেপ’ গ্রহণ করা হবে।

সপ্তাহখানেক পর চীনের পাল্টা পদক্ষেপের ঘোষণা এলো। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে জাহাজ ও বিমান প্রবেশের সকল আবেদন বাতিল করেছে তারা। এছাড়া আরও কঠোর পদক্ষেপ আসতে পারে বরেও জানায় তারা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিয়াং বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানাই তারা যেন নিজেদের ভুল শুধরে আর আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে। হংকংয়ের স্থিতিশীলতা ও চীনের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বেইজিং প্রয়োজনে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেবে। 

চীনের এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ফ্রিডম হাউসি, দ্য ন্যাশনাল এনডোমেন্ট ফর ডেমোক্রেসি, দ্য ন্যশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স ও ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট।  

চীনের দাবি, হংকংয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরিতে এই সংগঠনগুলোরও ভুমিকা আছে।