জিডিপি রামায়ণ-মহাভারতের মতো জরুরি নয়: বিজেপির আইনপ্রণেতা

ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির আইনপ্রণেতা নিশিকান্ত দুবে বলেছেন, জিডিপি রামায়ণ, মহাভারত বা বাইবেলের মতো এতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। তার দাবি, ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক সূচক হিসেবে জিডিপির কোনও প্রাসঙ্গিকতা থাকবে না। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতের জিডিপি কমে ৪ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এতে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছে বিজেপি সরকার। এমন সময় জিডিপি নিয়ে এক ‘নতুন তত্ত্ব’ হাজির করেছেন নিশিকান্ত।

Capture

গ্রামীণ ভারতীয়রা যেসব পণ্য কিনছেন সেগুলোর তুলনায় তারা যেসব ভোগ্যপণ্য উৎপাদন ও বিক্রি করেন সেগুলোর দাম খুব মন্থর গতিতে বাড়ছে। একই সঙ্গে অবকাঠামো ও আবাসন উন্নয়ন খাতে শ্রমিকদের চাহিদা কমে গেছে, অভিবাসী শ্রমিকদের রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ কমে গেছে এবং প্রবাসী শ্রমিকদের গ্রামে ফিরে আসার সংখ্যা বাড়ছে। এই অস্থিতিশীলতা নরেন্দ্র মোদির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। কারণ তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতের অর্থনীতিকে প্রায় দ্বিগুণ, অর্থাৎ ৫ ট্রিলিয়নে নিয়ে যাওয়ার।
শুক্রবার প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রবৃদ্ধির হার কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। আগের ত্রৈমাসিকে এ হার ছিল ৫ শতাংশ। আর ২০১৮ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ছিল ৭ শতাংশ। এই হারে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে মোদির প্রতিশ্রুতি অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা কম। অথচ গত বছর দেশটির প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ শতাংশের বেশি। ভারতীয় অর্থনীতি প্রতিবছর প্রয়োজনীয় কয়েক লাখ কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করতে পারছে না।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) পার্লামেন্টে (লোকসভা) দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নিশিকান্ত দুবে বলেন, ‘১৯৩৪ সালে জিডিপি এসেছে। তার আগে এখানে কোনও জিডিপি ছিল না। তাই বাইবেল, রামায়ণ, মহাভারতের মতো জিডিপিকে গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করে কোনও লাভ নেই। ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক সূচক হিসেবে জিডিপির কোনও প্রাসঙ্গিকতা থাকবে না।’

সাধারণ মানুষের আর্থিক কল্যাণের জন্য ‘নতুন তত্ত্বের’ ব্যাখ্যা দিয়েছেন ওই বিজেপি নেতা। তিনি বলেছেন, ‘সাধারণ মানুষের দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন হচ্ছে, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, জিডিপি নয়। উন্নয়নের কারণে মানুষ কতটা খুশি হচ্ছে, সেটাই আসল বিচার্য বিষয়।’