ফিলিপাইনে ঘূর্ণিঝড় কামমুড়ির আঘাত, সরানো হলো ৩ লক্ষাধিক মানুষকে

ফিলিপাইনের লুজন দ্বীপে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় কামমুড়ি। স্থানীয় সময় সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে ঝড়টি আঘাত হানে। তবে এর আগেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে তিন লক্ষাধিক মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয় কর্তৃপক্ষ। তীব্র ঝড়ো বাতাসের ফলে নিরাপত্তাজনিত কারণে স্থগিত করা হয় ম্যানিলা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের শতাধিক ফ্লাইট। বন্যা ও ভূমিধসের আশঙ্কায় পুরো বিমানবন্দরের কার্যক্রমই বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রাখে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ফ্রান্সভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এএফপি।noname
দুর্যোগ ব্যবস্থা দফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লুজন দ্বীপের দক্ষিণের বিকোল এলাকা এবং সংলগ্ন দ্বীপগুলো থেকে প্রায় তিন লাখ ৪০ হাজার মানুষকে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ঝড়ে বহু ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি ভূমিধসের মতো ঘটনাও ঘটেছে। তবে এখনও পর্যন্ত  কোনও প্রাণহানির কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দফতরের কর্মকর্তা লুইসিতো মেনডোজা বলেন, আমরা এখনও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি পর্যালোচনা করছি। তবে দৃশ্যত ঝড়ের প্রভাব ছিল মারাত্মক। এমনকি এক জায়গায় ঘরবাড়ির ছাদ পর্যন্ত পানি উঠে গেছে। আমাদের নিজস্ব কর্মীরাও ঝড়ে ভেঙে পড়া গ্লাসের আঘাত পেয়েছে। বাতাসের তীব্রতায় বহু গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে।

মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে ম্যানিলা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের একটি ব্যস্ত টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে শুধু বিমানবন্দরের কর্মী ও কিছু আটকে পড়া যাত্রী রয়েছেন। কানাডাগামী ২৩ বছরের এক যাত্রী জানান, তার গন্তব্যে ফেরা

উল্লেখ্য, ফিলিপাইনে বছরে গড়ে ২০টি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এতে প্রতিবছরই শতাধিক মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। ২০১৩ সালে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় হাইয়ানের আঘাতে দেশটিতে সাত হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে।