ব্রিটিশ নির্বাচন: বাড়বে নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠীর এমপি সংখ্যা

বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচন। প্রচারণা শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশটির ইতিহাসে এটাই হতে যাচ্ছে সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় নির্বাচন। এই নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন যুক্তরাজ্যে সংখ্যালঘু নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর আইনপ্রণেতার সংখ্যা নিশ্চিতভাবে বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তিন ব্রিটিশ এমপি  

ব্রিটিশ হাউস অব কমন্সে এখন পর্যন্ত তিন জন বাংলাদেশি লেবার পার্টির প্রতিনিধিত্ব করছেন। তারা হলেন টিউলিপ সিদ্দিক, রুপা হক ও রুশনারা আলী। লেবার পার্টির দুর্গ বলে খ্যাত নিজেদের আসনগুলো থেকে তারা আবারও বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে জয়ী হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এবারের নির্বাচনে লেবার পার্টির হয়ে আরেক বাংলাদেশি নির্বাচিত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি হলেন আপসানা বেগম। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইহুদি বিদ্বেষী মন্তব্যের অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।

ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি হয়ে লন্ডনের হ্যারো পশ্চিম আসনে লড়ছেন ব্রিটিশ-বাংলাদেশি চিকিৎসক আনওয়ারা আলী। লেবার সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনটির হিসাব এবারে বদলে দিতে চান তিনি।

লন্ডনের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ব্রিটিশ ফিউচারের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় হতে যাচ্ছে পরবর্তী পার্লামেন্ট- নির্বাচনের রাতে রাজনৈতিক পেন্ডুলাম যতবেশি ঘুরুক না কেন অনেক বেশি নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘু প্রার্থীরা নির্বাচিত হতে যাচ্ছে।

শুক্রবার ফল ঘোষণার পর যেসব নৃতাত্তিক সংখ্যালঘু আইনপ্রণেতারা নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমানে নির্বাচিত তিন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী। এদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক ও রুপা হক ২০১৫ সালে প্রথমবার নির্বাচিত হন। আর রুশনারা আলী প্রথম নির্বাচিত হন ২০১০ সালে।

ব্রিটিশ ফিউচারের পরিচালক সুন্দর কাটওয়ালা বলেন, ফলাফলের ওপর নির্ভর করলেও পরবর্তী পার্লামেন্টে প্রতি দশ জন এমপি’র একজন হবে নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘু থেকে আসা। প্রথমবারের মতো আমাদের পার্লামেন্টে এটা ঘটতে যাচ্ছে। মাত্র এক দশক আগে এই সংখ্যা ছিল প্রতি ৪০ জনে একজন।