২ ঘণ্টায় ট্রাম্পের শতাধিক টুইট

মাত্র ২ ঘণ্টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে শতাধিক পোস্ট দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিনিধি পরিষদের বিচারবিভাগীয় কমিটি তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন দেওয়ার পর ১২০ মিনিটে ১২৩টি টুইট করেছেন তিনি। দীর্ঘ শুনানির পরে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ওঠা ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ যথার্থ বলে ঘোষণা দিয়েছে হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের সদস্যরা।Capture

 

সম্প্রতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ট্রাম্পের ফাঁস হওয়া ফোনালাপে দেখা যায়, সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে রীতিমতো চাপ দিচ্ছেন ট্রাম্প। ওই ফোনালাপের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংস্থার একজন সদস্য আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করার পর ট্রাম্পের অভিশংসনের দাবি সামনে আসে। তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে তদন্ত শুরু করে ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদ। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) পরিষদের হাউজ জুডিশিয়ারি কমিটিতে অভিযোগের ওপর ভোটগ্রহণ করা হলে ২৩-১৭ ভোটে অভিশংসন প্রস্তাব পাস হয়।

বিচারবিভীয় কমিটির অনুমোদনের পর মাত্র দুই ঘণ্টা ১২৩ বার টুইট এবং রিটুইট করেছেন ট্রাম্প। একাধিক টুইটে তিনি দাবি করেন, তিনি কোনও অন্যায় করেননি। ট্রাম্প তার ম্যারাথন টুইটে সংবাদমাধ্যমেরও সমালোচনা করেছেন। এক টুইটে তিনি লিখেছেন, “সিএনএন ও এমএসএনবিসি পুরো মাতাল হয়ে গেছে; তাদের রেটিং অত্যন্ত বিপজ্জনক। তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা শূন্য। ‘দুর্বৃত্ত’ ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন হাউজে আমাদের সব প্রেসিডেন্ট অভিশংসিত হবেন।”

মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ অর্থাৎ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভে বর্তমানে ট্রাম্পের বিরোধীরা সংখ্যাগুরু। ফলে সেখানে অভিশংসন প্রস্তাব পাস করাটা সহজ হয়েছে। এরপর তদন্ত অনুষ্ঠিত হবে সিনেটে। বিধি অনুযায়ী প্রেসিডেন্টকে পদ থেকে অপসারণের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ সিনেটরের সম্মতির প্রয়োজন হবে। তবে সিনেটে রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় ট্রাম্পের অভিশংসিত হওয়ার আশঙ্কা কম।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনও প্রেসিডেন্টকে অভিশংসিত করার উদ্যোগ এই প্রথম নয়। সবশেষ বিল ক্লিনটনকে এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল।