এবার ইরাককে হুমকি ট্রাম্পের

ইরানের পর এবার ইরাকের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ইরাক থেকে মার্কিন সেনাদের বহিষ্কার করা হলে দেশটির বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র। এমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে, যা আগে তারা দেখেনি। রবিবার ইরাকের পার্লামেন্ট দেশটি থেকে মার্কিন বাহিনীকে বহিষ্কারের প্রস্তাব পাসের পর এমন হুঁশিয়ারি দেন ট্রাম্প।
রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের রাষ্ট্রীয় বিমান এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, সেখানে খুব ব্যয়বহুল বিমানঘাঁটি রয়েছে। এটি তৈরিতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে। ওই অর্থ পরিশোধ না করা পর্যন্ত আমরা ইরাক ছাড়ছি না।

ইরাকে বর্তমানে প্রায় পাঁচ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। রবিবার মার্কিন বাহিনীসহ সব বিদেশি বাহিনীকে বহিষ্কারে একটি প্রস্তাব পাস করে দেশটির পার্লামেন্ট। সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের দুই দিনের মাথায় ৫ জানুয়ারি এ প্রস্তাব পাস হয়। এতে বিদেশি সেনাদের ফিরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। ইরাক সরকারকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। ইরাকি আইনপ্রণেতারা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে বাগদাদে ঢুকে তাদের মিত্র ইরানের কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করেছে; তা ইরাকের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন।

আইএস-বিরোধী লড়াইয়ে সহায়তার জন্য মার্কিন বাহিনীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ইরাক। রবিবার পাস হওয়া প্রস্তাবে সরকারকে ওই আমন্ত্রণ বাতিল করতে বলা হয়েছে। পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তব্যে ইরাকের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদীও মার্কিন বাহিনীকে বহিষ্কারের পক্ষে মত দেন। তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ ও বাইরের নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও নৈতিকতা ও বাস্তবতার দিক থেকে মার্কিন বাহিনীকে প্রত্যাহার করাই হবে ইরাকের জন্য সেরা সিদ্ধান্ত।  তবে রয়টার্স জানিয়েছে, এজন্য ইরাকি পার্লামেন্টে পাস হওয়া প্রস্তাবটি যথেষ্ট নয়। কেননা, এ ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি রয়েছে। ফলে মার্কিন সেনাদের বহিষ্কার করতে চাইলে নতুন আইনের প্রয়োজন হবে। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স।