সৌদি আরবের আরামকোয় হামলা হুথিরা করেনি: জাতিসংঘের প্রতিবেদন

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ তেল স্থাপনায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে হওয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলাটি ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা করেনি। বৈশ্বিক এ সংস্থাটির নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষণকারী দলের অনুসন্ধানে এমন তথ্য উঠেছে এসেছে। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

48acecc0357849b8930d47c9e8053bc7_18

২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর দুটি বৃহৎ তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালানো হয়। ওই হামলার পর সৌদি আরবের তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে। ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীরা এ হামলার দায় স্বীকার করলেও এ ঘটনায় ইরানকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব। যুক্তরাষ্ট্রের তরফে স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করে হামলার নেপথ্যে ইরান জড়িত রয়েছে বলে দাবি করা হয়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে তেহরান।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ইয়েমেন নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষণকারী বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন, ‘হুথি বাহিনী আবকাইক ও খুরাইসে ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ এর হামলাটি চালায়নি।’ জাতিসংঘের তদন্ত কর্মকর্তাদের সূত্রে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় যেসব ড্রোন ও ভূমিতে আঘাত হানতে সক্ষম ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলো ‘ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে ছোড়ার মতো দূরপাল্লার’ নয় বলেই সন্দেহ বিশেষজ্ঞদের। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আবকাইক ও খুরাইসে হামলাটি উত্তর/উত্তরপূর্ব এবং উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে হয়েছে বলে প্যানেল ধারণা করছে। দক্ষিণ থেকে হয়নি, ইয়েমেনি এলাকা থেকে ছুড়লে ওই দিক থেকেই সবাই প্রত্যাশা করবে।’

জাতিসংঘের ওই স্বতন্ত্র তদন্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, “হামলায় ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের মতো ‘তুলনামূলকভাবে সংবেদনশীল অস্ত্র তৈরি ও আধুনিকায়ন ইয়েমেনে হয়েছে’ এমনটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। আর কিছু কিছু অস্ত্রের সঙ্গে ইরানে বানানো অস্ত্রের কৌশলগত মিল রয়েছে।”

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদিতে হামলাটি কারা চালিয়েছে, তা নির্ণয়ের দায়িত্ব অবশ্যই ইয়েমেনের নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষণকারী এ তদন্ত দলের ছিল না।