বিমান বিধ্বস্তের জন্য দায়ী খামেনি: ইরানের বিরোধী রাজনীতিক

ইরানে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় তাকে দায়ী করেছেন দেশটির সরকারবিরোধী রাজনীতিক মেহদি কারৌবি। তিনি গ্রিন মুভমেন্টের অন্যতম নেতা।আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ি
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় খামেনির অপসারণও দাবি করেছেন মেহদি কারৌবি।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনী প্রধান হিসেবে আপনি (খামেনি) সরাসরি এর জন্য দায়ী। আপনি যদি বিষয়টি সম্পর্কে সজাগ থাকেন এবং আপনার অধীনস্থ সামরিক ও সুরক্ষা কর্তৃপক্ষগুলোকে মানুষের সঙ্গে শঠতার আশ্রয় নিতে দেন, তবে নিঃসন্দেহে আপনার সাংবিধানিক নেতৃত্বের গুণাবলির অভাব রয়েছে।

এদিকে ইউক্রেনের বিধ্বস্ত বিমান দেখার চেয়ে নিজের মৃত্যু ভালো ছিল বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর (আইআরজিসি) মহাকাশ শাখার প্রধান আমির আলি হাজিজাদেহ। শনিবার (১১ জানুয়ারি) তেহরানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

হাজিজাদেহ বলেন, আইআরজিসি ঘটনায় সব দায় নিয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ যেসব পরিবর্তন আনতে নির্দেশ দিয়েছে তা বাস্তবায়নে প্রস্তুত রয়েছে। আইআরজিসি ইরানের জনগণকে সেবা দিতে নিজেদের জীবন দিয়ে যাচ্ছে।

৮ জানুয়ারি বুধবার সকালে তেহরানের ইমাম খোমেনি বিমানবন্দর থেকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে ইউক্রেন এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। উড্ডয়নের পরপরই ১৮০ আরোহী নিয়ে এটি বিধ্বস্ত হয়। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে বিমানটি ভুল করে ভূপাতিত করার কথা স্বীকার করে ক্ষমা চায় তেহরান।

বিধ্বস্ত প্লেনটির অধিকাংশ আরোহী ছিলেন ইরানি নাগরিক। এ ঘটনায় ১১ জানুয়ারি শনিবার রাজপথে নেমে আসে বিক্ষুব্ধ ইরানিরা। তারা দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান তোলে। আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারীদের ‘সর্বাধিনায়কের পদত্যাগ, পদত্যাগ’ স্লোগান দিতে দেখা গেছে। তেহরানের বাইরেও বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এসব বিক্ষোভে আন্দোলনকারীরা খামেনিকে ‘খুনি’ হিসেবে আখ্যায়িত করে। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। এরমধ্যেই এ ঘটনায় সর্বোচ্চ নেতার পদত্যাগ চাইলেন সরকারবিরোধী গ্রিন মুভমেন্টের অন্যতম নেতা মেহদি কারৌবি। সূত্র: আল জাজিরা, রয়টার্স।