যুক্তরাজ্যে ইরানি রাষ্ট্রদূতকে তলব

যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে দেশটির সরকার। রবিবার ইরানে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে আটকের ব্যাপারে জবাবদিহি করতে বলা হয়েছে তাকে। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

thumbs_b_c_feea10208ec6e9ed262855610d9a5cb8

রবিবার ইরানে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ম্যাককেইরকে তেহরানের আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উষ্কানির অভিযোগ আনা হয়েছে। পরে অবশ্য তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইরানি রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়।

ব্রিটিশ সরকারের এক  মুখপাত্র জানান, ‘রবিবার ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে আটক করা হয় যা একদমই অগ্রহণযোগ্য ও ভিয়েনা চুক্তির লঙ্ঘন। বিষয়টি তদন্ত হওয়া দরকার।’

মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা ইরান সরকারে কাছ থেকে পূর্ণ আশ্বাস চেয়েছি যেন ভবিষ্যতে এমনটা না হয়। সে ইরানি রাষ্ট্রদূতকে তলব করে আমরা আমাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছি।’

মুক্তি পেয়ে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত এক টু্ইটবার্তায় জানান, তিনি কোনও উষ্কানি দেননি। বরং নিহতদের সম্মান জানাতে গিয়েছিলেন সেখানে। এই ঘটনার পর ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেন, এটা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। তিনি বলেন, ‘ইরানি সরকার সীমা অতিক্রম করেছে। এমন করলে তারা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। উত্তেজনা কমাতে তাদের কূটনৈতিক পথ বেছে নিতে হবে।   

গত ৮ জানুয়ারি (বুধবার) জেনারেল সোলাইমানি হত্যার বদলা নিতে মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দিনেই ১৭৬ আরোহীসহ বিধ্বস্ত হয় ইউক্রেনগামী বিমান। ঘটনার কয়েকদিনের মাথায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউজ উইক তাদের অনুসন্ধানে দাবি করে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রথমে অস্বীকার করলেও এক পর্যায়ে তেহরান বিমান ভূপাতিত করার কথা স্বীকার করে। এরপর থেকেই সেখানে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভে সমর্থন দিতে গিয়ে আটক হন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত।