শাসকেরা নিপাত যাক: তৃতীয় দিনে ইরানের বিক্ষোভকারীরা

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। ভুল করে ইউক্রেন এয়ারলাইন্সের বিমান ভূপাতিত করার স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সোমবার তৃতীয় দিনে তেহরান ও ইস্পাহান শহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে  শাসকদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভকারীদের স্লোগান দিতে দেখা গেছে। কোনও কোনও স্থানে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাসও নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।noname

দেশি-বিদেশি চাপের মুখে অবশেষে শনিবার ইরান স্বীকার করে, গত ৮ জানুয়ারি (বুধবার)তাদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই ইউক্রেনগামী বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৭৬ জন যাত্রী নিহত হন। যাদের বেশিরভাগই ইরানি ও ইরানি বংশোদ্ভুত কানাডীয় নাগরিক। এই স্বীকারোক্তির পরই ইরানের জনগণ বিক্ষোভে নামে।

সোমবার তেহরানের আজাদি স্কয়ারে বিক্ষোভরতদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীকে টিয়ারগ্যাস ছুড়তে দেখা গেছে। এক নারী বিক্ষোভকারী বলেন, তারা মানুষের ওপর টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে। স্বৈরশাসকেরা নিপাত যাক।

রাজপথে বিক্ষোভের পাশাপাশি অনলাইনেও চলছে বিক্ষোভ। তেহরানের আল্লামাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির অধ্যাপক জাভেদ কাশি লিখেছেন, প্রকাশ্য বিক্ষোভে মানুষকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, যত খুশি তাদের চিৎকার করতে দেওয়া উচিত।

অনলাইনে বিক্ষোভের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ও সৃষ্টিশীল ব্যক্তিত্বরাও নিজ নিজ অবস্থান থেকে বিক্ষোভে শামিল হচ্ছেন। চলচ্চিত্র পরিচালক মাসুদ কিমিয়াইসহ বেশ কয়েক জন শিল্পী আসন্ন একটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বিমান ভূপাতিত করার করার কারণ নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিতে হওয়ায় পদত্যাগ করেছেন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দুই উপস্থাপক।

ইরানের প্রখ্যাত অভিনেত্রী তারনেহ আলীদোস্তি ইন্সট্রাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমরা নাগরিক নই। জিম্মি। লাখ লাখ জিম্মি’।