‘চীনকে অবশ্যই আমাদের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে’

তাইওয়ানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন বলেছেন, চীনকে বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়া দরকার। তাদের অবশ্যই তাইওয়ানের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। ১১ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় নির্বাচিত হওয়ার পর বিবিসি’কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

800

চীন বরাবরই তাইওয়ানের ওপর তাদের সার্বভৌমত্ব দাবি করে থাকে। দেশটির ওপর প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করার অধিকারও বেইজিংয়ের রয়েছে বলে দাবি করে চীন। এমন পরিস্থিতিতে বিবিসি’র সঙ্গে আলাপকালে বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে আসা ক্রমবর্ধমান হুমকির প্রতি আলোকপাত করেন সাই ইং ওয়েন।

মঙ্গলবার বিবিসি’র খবরে বলা হয়, চীনবিরোধী হিসেবে পরিচিত তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন বলেছেন, নিঃসন্দেহে আপসের কোনও প্রয়োজন নেই।

তিনি বলেন, একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের আলাদা করে স্বাধীনতা ঘোষণার কোনও প্রয়োজন নেই। ইতোমধ্যেই আমাদের দেশ স্বাধীন। আমরা এটাকে ‘দ্য রিপাবলিকান অব চায়না, তাইওয়ান’ নামে ডাকি।

তাইওয়ানকে চীনের নিজস্ব ভূখণ্ড মনে করে বেইজিং। তবে একক চীনের ধারণাকে আপসকামিতা হিসেবে বিবেচনা করে তাইওয়ানের নাগরিক সমাজের উল্লেখযোগ্য অংশ।

অভিযোগ রয়েছে, প্রয়োজনে সামরিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে জোর করে দেশটিতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি।

শনিবার ঘোষিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা গেছে, মোট প্রদত্ত ভোটের ৫৭ দশমিক ১ শতাংশ পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ৬৩ বছরের সাই ইং ওয়েন। একক চীনের ধারণার জন্য তাইওয়ানবাসী যে আগ্রহী নয়, তার জয়ে বিষয়টি আবারও প্রমাণিত হয়েছে।

সাই ইং ওয়েন বলেন, ‘পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে।’ বাস্তবতার পরিবর্তন বলতে তিনি চীনকে বুঝিয়েছেন।

তিনি বলেন, গত তিন বছরের বেশি সময় ধরে আমরা দেখছি বেইজিং অব্যাহতভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। এই দ্বীপ রাষ্ট্রের চারপাশে তাদের বিমানবাহী রণতরী ও সামরিক জাহাজ মোতায়েন করেছে।

সাই ইং ওয়েন বলেন, আমাদের একটি স্বাধীন পরিচয় আছে। স্বতন্ত্র একটি দেশ আছে। কেউ মোকাবিলা করতে এলে আমরা তাদের চ্যালেঞ্জ জানাবো। জানিয়ে দেবো, এ ধরনের কর্মকাণ্ড গ্রহণযোগ্য নয়।