কে-ফোর ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের

পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম কে-ফোর ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়। ভারতের আশা, নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র তাদের নৌবাহিনীর শক্তি বিপুল পরিমাণে বাড়িয়ে দেবে।

noname

কে-ফোর ক্ষেপণাস্ত্রটি ১২ মিটার দীর্ঘ এবং এর ওজন ১৭ টন। এই ক্ষেপণাস্ত্রটির বিশেষত্ব হলো, এটি রাডারের মধ্যে সহজে ধরা পড়ে না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবিবার ভোরে সমুদ্রের নিচে একটি প্লাটফর্ম থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি সাড়ে ৩ হাজার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংগঠনের (ডিআরডিও) তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রকে শিগগিরই আইএনএস আরিহান্ট শ্রেণির পরমাণু সঞ্চালিত সাবমেরিনে যুক্ত করা হবে। তবে তার আগে আরও পরীক্ষা করা হতে পারে। ডিআরডিও যে দুটি আন্ডার ওয়াটার ক্ষেপণাস্ত্র  তৈরি করেছে, কে-ফোর  অন্যতম। এছাড়া ৭০০ কিলোমিটারের বেশি দূরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম বিও ফাইভ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে তারা।

ভারতের সরকার আগেই জানিয়েছিল, কে-ফোরের পরীক্ষা পানির নিচের প্লাটফর্ম থেকে করা হবে। কারণ এটি এখনও একটি পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ। নিজেদের নৌবাহিনীতে কে-ফোর ক্ষেপণাস্ত্র যুক্ত করে ভারত মহাসাগরে বেইজিং-এর আধিপত্য মোকাবিলার চেষ্টা করবে দিল্লি।

২০১২ সালে অগ্নি-১- ক্ষেপণাস্ত্রের  সফল পরীক্ষার পর ২০১৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয়, ২০১৫ সালের ৩১ জানুয়ারি তৃতীয় এবং ২০১৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ পরীক্ষামূলক সফল উৎক্ষেপণ হয়েছিল। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে অগ্নি-৫ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রধারী দেশের সারিতে যোগ দেয় ভারত। বিশ্বের মধ্যে শুধু যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স আর যুক্তরাজ্যের এমন ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।