পারমাণবিক অস্ত্র থাকলে দেশ সুরক্ষিত থাকবে: ইরানি এমপি

পারমাণবিক অস্ত্র থাকলে দেশ সুরক্ষিত থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের একজন এমপি। মঙ্গলবার পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তব্যে এমন দাবি করেন তিনি। ইরানের আধা-সরকারি সংবাদমাধ্যম আইএসএনএ-এর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে প্রাতিবেদনে ওই এমপি-র নাম উল্লেখ করা হয়নি।
ইরানের অপ্রচলিত পারমাণবিক বোমাসহ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন এই রাজনীতিক।

তিনি বলেন, আজ যদি আমাদের পারমাণবিক অস্ত্র থাকতো তাহলে আমরা হুমকির হাত থেকে রক্ষা পেতাম। ফলে আমাদের দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনে নজর দেওয়া উচিত। এটি আমাদের স্বাভাবিক অধিকার।

পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরেই তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তারের চেষ্টার জন্য অভিযুক্ত করে আসছে। তবে ইরানি নেতারা বরাবরই পশ্চিমা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। তাদের দাবি, শান্তিপূর্ণ লক্ষ্যেই তেহরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি পরিচালনা করছে।

এমন সময়ে ইরানের পার্লামেন্টে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে দাবি উঠলো যার একদিন আগেই পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। সোমবার এক সাক্ষাৎকারে জারিফ বলেন, তার দেশের পরমাণু কর্মসূচির বিষয়টি আবারও নিরাপত্তা পরিষদে তোলা হলে তেহরান এনপিটি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবে।

২০১৮ সালের ৮ মে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে গিয়ে তেহরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। সে সময় ওই সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী তিন ইউরোপীয় দেশ ফ্রান্স, জার্মানি ও ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন তেহরানকে পরমাণু সমঝোতায় অটল থাকার আহ্বান জানায়। তারা ঘোষণা দেয়, এ সমঝোতায় ইরানকে যেসব আর্থিক সুবিধা দেওয়ার কথা ছিল যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াই তা বাস্তবায়ন করা হবে।

২০১৯ সালের ৮ মে তিন ইউরোপীয় দেশের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে পরমাণু সমঝোতার কিছু ধারার বাস্তবায়ন স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয় ইরান। পরে আরও চার দফায় আরও কিছু ধারার বাস্তবায়ন স্থগিতের ঘোষণা দেয় তেহরান।