আইএস-এর নতুন খলিফা আবদুল্লাহ কারদাশ

আবু বকর আল বাগদাদির মৃত্যুর পরপরই  ইসলামিক স্টেটের (আইএস) নতুন খলিফা নির্বাচন করা হয়। সে সময় ওই জঙ্গিগোষ্ঠীর নতুন শীর্ষ ব্যক্তি হিসেবে আবু ইব্রাহিম আল হাশিমি আল ‍ ‍কুরাইশির নাম ঘোষণা করা হয়। তবে দুই গোয়েন্দা সূত্রকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান সোমবার জানিয়েছে, হাশিমির আসল নাম আমির মোহাম্মদ আব্দুল রহমান। সে আবদুল্লাহ কারদাশ ও হাজী আবদুল্লাহ নামেও পরিচিত।

noname

২০১৯ সালের অক্টোবরে হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২৬ অক্টোবর (শনিবার) মার্কিন অভিযানে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছেন বাগদাদি। মার্কিন অভিযানের স্যাটেলাইট ভিডিও প্রকাশ করে ওয়াশিংটন। পরে আইএস-এর পক্ষ থেকেও বাগদাদির মৃত্যুর কথা স্বীকার করে নতুন নেতা হিসেবে হাশিমির নাম ঘোষণা করা হয়।

বাগদাদির মৃত্যুর পর তিন মাস ধরে চলা অনুসন্ধানে এই হাশিমির আসল পরিচয় সামনে আসতে শুরু করে। আঞ্চলিক ও পশ্চিমা গোয়েন্দারা অবশেষে জানতে সমর্থ হয়, এই হাশিমিই আসলে আবদুল্লাহ কারদাশ। গার্ডিয়ান জানিয়েছে, আইএস-এর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য আবদুল্লাহ ইরাকের ইয়াজিদি সংখ্যালঘু জিম্মির কারিগর ছিলেন। তবে তার আসল নাম গোষ্ঠীর অন্যান্য সিনিয়র নেতা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানতো না।

আইএসের খলিফা নির্বাচনের ক্ষেত্রে কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তার মনোনয়নে শুরা পরিষদ যুক্ত ছিলো কিনা তাও জানা যায়নি।  

এর আগে ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন তারা আইএসের নতুন খলিফার পরিচয় জানতে পেরেছেন। তবে পরবর্তীতে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোই জানায়, নতুন প্রধানের ব্যাপারে খুব বেশি তথ্য নেই কারও কাছে। সেসময় জঙ্গিগোষ্ঠী নিয়ে কাজ করা মার্কিন প্রতিষ্ঠান সাইট ইন্টিলিজেন্স এর পরিচালক রিতা কার্তজ বলেন, নতুন আইএস প্রধানের ভিডিও প্রকাশ কিংবা চেহারা দেখানোর খুব একটা সম্ভাবনা নেই।

২০১৪ সালে ইরাক ও সিরিয়ার কিছু অংশ দখল করার পর বিশ্বের মুসলিমদের শাসক হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করেন বাগদাদি। উত্থানের চূড়ান্ত সময়ে আইএস সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চল ও ইরাকের পূর্বাঞ্চল মিলিয়ে প্রায় ৮৮ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতো। দখলকৃত এলাকায় থাকা ৮০ লাখ মানুষের ওপর নির্মম ও নৃশংস শাসন জারি করে তারা। বাগদাদির মৃত্যুর পর সংগঠনের নতুন শীর্ষ পদে নিয়োজিত হলো আবদুল্লাহ।