অভিশংসন শুনানির দিনেই দাভোসে ট্রাম্প, মার্কিন অর্থনীতির প্রশংসা

যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন শুনানি শুরু হচ্ছে আজ। মঙ্গলবার এই শুনানি শুরুর প্রাক্কালে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনে যোগ দিতে ওয়াশিংটন ছেড়েছেন তিনি। অভিশংসন শুনানির মুখেই দাভোসে দেওয়া সম্মেলনে মার্কিন অর্থনীতির ভূয়সী প্রশংসা করেন ট্রাম্প। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।noname
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)-এর এবারের সম্মেলনে মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও শিল্প উদ্যোগের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন বিশ্বনেতারা। ২১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া চার দিনের এ আয়োজন চলবে আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত।

সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ওপর জোর দেওয়া হলেও ইতোপূর্বে দফায় দফায় জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার সকালে দাভোসে দেওয়া ভাষণেও তার মুখে ছিল মার্কিন অর্থনীতির জয়গান। উপস্থিত অতিথিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিবর্তন চোখে পড়ার মতো। দর্শনীয় বিষয়গুলোর চেয়ে এটি কোনও অংশে কম নয়।

ডব্লিউইএফ সম্মেলনের সাইডলাইনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, ইরাকের প্রেসিডেন্ট বারহাম সালিহ, কুর্দি অধ্যুষিত উত্তর ইরাকের প্রেসিডেন্ট নেছিরওয়ান বারজানিসহ বিশ্বনেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে ট্রাম্পের।

দাভোস থেকে আল জাজিরা-র সাংবাদিক জেমস বেজ জানান, মার্কিন সিনেটে অভিশংসন প্রক্রিয়ার কারণে শেষ মুহূর্তে সম্মেলনে ট্রাম্পের অংশগ্রহণ নিয়ে সংশয় ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ওই সংশয় আর বাস্তবে রূপ নেয়নি। বরং বিশ্বমঞ্চে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দৃঢ়ভাবে উপস্থাপনের জন্য এটিকে সুযোগ হিসেবে নিয়েছেন ট্রাম্পের উপদেষ্টারা।

প্রতি বছরের জানুয়ারিতে দুনিয়ার সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং করপোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের নিয়ে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূলত আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক ও শিল্প সংক্রান্ত এজেন্ডাগুলো গুরুত্ব পায়।

১৯৭১ সালে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে সুইস ফেডারেল সরকারের আইনে আন্তর্জাতিক সংস্থার স্বীকৃতি পায় জেনেভাভিত্তিক এ সংগঠন। এটি বিশ্বের রাষ্ট্রগুলোকে ব্যবসায়িক, রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এগিয়ে নিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।