বিদেশি পর্যটকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা উ. কোরিয়ার

বিদেশি পর্যটকদের উত্তর কোরিয়া ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় এমন পদক্ষেপ নিয়েছে পিয়ংইয়ং। উত্তর কোরিয়ার একাধিক ফরেন ট্যুর অপারেটরের বরাত দিয়ে বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।noname
ফরেন ট্যুর অপারেটররা জানিয়েছেন, বুধবার থেকে বিদেশি পর্যটকদের জন্য উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ নিষিদ্ধের এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সম্পর্কে থাকা উত্তর কোরিয়ার প্রধান পৃষ্ঠপোষক চীন। দেশটি থেকে প্রতিবছর প্রচুর পর্যটক পিয়ংইয়ং-এ বেড়াতে যান। এখন সেই চীনে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বিপাকে ফেলেছে উত্তর কোরিয়ার পর্যটনকে।

চীনা একটি ট্রাভেল এজেন্সির প্রধান চা ইয়ংইয়ং রয়টার্সকে জানিয়েছেন, উত্তর কোরীয় অংশীদারদের কাছ থেকে মঙ্গলবার তারা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বার্তা পেয়েছেন। এতে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যবস্থা কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

চীনে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ইতোমধ্যেই ৯ জনে দাঁড়িয়েছে। আর দেশজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪০ হন। ২২ জানুয়ারি বুধবার দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন এ তথ্য জানিয়েছে। সরকারি হিসেবে সোমবার পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২২৩ জন। দুই দিনের মাথায় এ সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণে দাঁড়ালো। সংক্রামক এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ১৫ চিকিৎসা কর্মী রয়েছেন। রাজধানী বেইজিং ও সাংহাই-এর মতো শহরেও আক্রান্ত ব্যক্তি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

এ ভাইরাসটি ছড়িয়েছে মূলত চীনের উহান শহর থেকে। চীন ছাড়াও থাইল্যান্ডে দুইজন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ানে একজন করে আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। তারা সবাই চীনের উহান শহর থেকে নিজ দেশে ফিরেছিলেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বিশ্বজুড়ে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরে যাত্রীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। বিশেষ করে চীন ফেরত যাত্রীদের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সতর্কতা জারির বিষয়টি বিবেচনা করতে বুধবার বৈঠকে বসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এমন পরিস্থিতিতেই বিদেশি পর্যটকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পিয়ংইয়ং।