সিএএ বিতর্কে অংশ নিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুপা হক

ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব (সিএএ) আইন নিয়ে লন্ডনে আয়োজিত এক বিতর্কে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ আইনপ্রণেতা রুপা হক। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্স ভবনে এই বিতর্কের সঞ্চালক ছিলেন পূর্ব লন্ডনের লেবার পার্টির আইনপ্রণেতা স্টিফেন টিমস। বিতর্কটির আয়োজন করে আম্বেদকর ইন্টারন্যাশনাল মিশন ইউকে এবং সাউথ এশিয়া সলিডারিটি গ্রুপ।বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ আইনপ্রণেতা রুপা হক

ব্যাপক বিক্ষোভ সত্ত্বেও গত ডিসেম্বরে ভারতে কার্যকর হয়েছে সিএএ। সমালোচকরা আইনটিকে ভারতীয় সংবিধানবিরোধী আখ্যা দিলেও ভারত সরকারের দাবি বাংলাদেশসহ প্রতিবেশি দেশগুলোতে নিপীড়নের শিকার সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়াই এই আইনের লক্ষ্য। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিএএ-কে ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ ইস্যু’ বললেও একে অপ্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অভিহিত করেছেন।

লন্ডনের বিতর্কে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির আইনপ্রণেতা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুপ হক বলেন, ভারতে মুসলমানদের স্বাধীনতার ওপর বিধিনিষেধের কথা শুনে হতভম্ব হয়েছি। যুক্তরাজ্য ও অন্য দেশগুলোতে বসবাসরত ভারতীয়দের ওপর নতুন প্রণীত আইন কিভাবে প্রভাব ফেলবে সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। জবাবে ভারতীয় আইনজীবী গৌতম ভাটিয়া বলেন, ‘নতুন আইনটি ভারত সরকারকে আরও বেশি ওসিআই (ওভারসিজ সিটিজেনশিপ অব ইন্ডিয়া) বাতিল করার ক্ষমতা দেবে’। ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকদের অনির্দিষ্টকাল ধরে ভারতে বসবাস এবং কাজের অনুমোদন দিতে ২০০৫ সালে ওসিআই প্রণয়ণ করে ভারত।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাজ্যে সিএএ-এর বিরুদ্ধে আয়োজিত বিক্ষোভে সমর্থন দিতে হাউস অব কমন্স ভবনে বিতর্কের আয়োজন করা হয়। লেবার পার্টির আইনপ্রণেতা স্টিফেন টিমসের সঞ্চালনায় বিতর্কে অংশ নেন বিরোধী দলের বেশ কয়েক জন আইনপ্রণেতা। স্টিফেন টিমস বলেন, ‘আমার এলাকায় ভারতের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে যত বৈচিত্রপূর্ণ মানুষ অংশ নিয়েছে তা দেখে আমি অবাক হয়েছি। হিন্দু, মুসলমান, শিখ সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে’।