তুরস্কে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮

তুরস্কে শুক্রবারের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৫৫৩ জন। ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় পূর্বাঞ্চলীয় ইলাজিগ প্রদেশে কম্পনটি আঘাত হানে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭।noname

১৫ সেকেন্ডের এ ভূমিকম্পে প্রাথমিকভাবে অন্তত  ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোইলু জানান, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। ইলাজিগ প্রদেশে আহত হয়েছেন ৪০৫ জন। মালাতিয়া প্রদেশে আহত হয়েছেন আরও ১৪৮ জন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোইলু জানান, ধসে পড়া একটি ভবনের নিচে আটকা পড়েছেন ৩০ জন। তাদের উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। তিনি জানান, আক্রান্ত দুই প্রদেশে অতিরিক্ত ১৭০টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে।

আক্রান্তদের সহায়তায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সও প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেতিন কোচা।

noname

তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে ইলাজিগের সিভরাইস জেলায় কম্পন অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ৬ দশমিক ৭ কিলোমিটার গভীরে। ইলাজিগ প্রদেশ ছাড়াও মালাতিয়া প্রদেশ, দক্ষিণাঞ্চলীয় আদানা ও উত্তরাঞ্চলীয় সামসুন এলাকাতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।

ভূমিকম্পের পর দফায় দফায় আফটার শক ঘটেছে। রিখটার স্কেলে এগুলোর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩ থেকে ৫ দশমিক ৫ পর্যন্ত।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোইলু বলেছেন, কম্পনের ফলে বেশকিছু ভবন ধসে পড়েছে বা স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার যে কোনও প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন।

আরব ও ইউরেশীয় প্লেটের ওপর অবস্থিত তুরস্ককে ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ আগস্ট ৩৭ সেকেন্ডের এক ভূমিকম্পে দেশটিতে ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও ৪৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। তুরস্কের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় মারমারা অঞ্চলে কম্পনটি আঘাত হেনেছিল। এর তিন মাসের মাথায় ১৯৯৯ সালের ১২ নভেম্বর ডিজসে প্রদেশে ৭ মাত্রার আরেকটি কম্পন আঘাত হানে। এতে ৮৪৫ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও প্রায় ৫ হাজার মানুষ। সূত্র: ডেইলি সাবাহ, ইউএসজিএস।