আইসিজের আদেশ বাস্তবায়ন করুন: মিয়ানমারকে জাতিসংঘ

মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) অন্তর্বর্তী আদেশ বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছে জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) আইসিজে নেপিদোকে রোহিঙ্গা গণহত্যায় অভিযুক্ত করে ওই জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা নিশ্চিতে ৪টি অন্তর্বর্তী আদেশ জারি করেন। শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে ‘তাৎক্ষণিক ও নিঃশর্তভাবে’ মিয়ানমারকে আদেশগুলো বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে।

thumbs_b_c_35feadf0e20922742f80180e0505edb3

গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের  সর্বোচ্চ বিচারালয় আইসিজের প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবদুল কাফি আহমেদ ইউসুফ রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা নিশ্চিতে চারটি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ ঘোষণা করেন। এগুলো হলো- ০১. রোহিঙ্গাদের হত্যা, মানসিক ও শারীরিক নিপীড়ন ও ইচ্ছাকৃত আঘাত করা যাবে না। ০২. গণহত্যার আলামত নষ্ট করা যাবে না। ০৩. গণহত্যা কিংবা গণহত্যার প্রচেষ্টা বা ষড়যন্ত্র না করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ। ০৪. মিয়ানমারকে অবশ্যই চার মাসের মধ্যে লিখিত জমা দিতে হবে, যেন তারা সেখানে পরিস্থিতি উন্নয়নে কী ব্যবস্থা নিয়েছে।

শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের মুখপাত্র লিজ থ্রোসেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আইসিজের আদেশ ও জাতিসংঘ সনদের বাধ্যবাধকতা মেনে তাৎক্ষণিক ও নিঃশর্তভাবে পূর্ণাঙ্গ আদেশ বাস্তবায়ন করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে মানবাধিকার কার্যলয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থনিও ‍গুতেরেসও উল্লেখ করেছেন, আদালতের ওই অন্তর্বর্তী আদেশগুলো আন্তর্জাতিক আইন মেনে দেওয়া হয়েছে। এজন্য ওই নির্দেশনা মানার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।’

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরদার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তারা রাখাইনে হত্যাকাণ্ড, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ শুরু করলে জীবন বাঁচাতে নতুন করে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এই নৃশংসতাকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর আইসিজেতে মামলা করে গাম্বিয়া। এরপরই ২৩ জানুয়ারি আদেশ দেয় আইসিজে।