তুরস্কে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২

তুরস্কে শুক্রবারের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও এক হাজার ২৪৩ জন। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোইলু এ তথ্য জানিয়েছেন। ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় পূর্বাঞ্চলীয় ইলাজিগ প্রদেশে ১৫ সেকেন্ডের এ কম্পনটি আঘাত হানে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭।
এর আগে ভূমিকম্পে ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোইলু জানান, মালাতিয়া প্রদেশের দোয়ানিওল জেলাতেও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ২২-এ পৌঁছায়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোইলু জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপ থেকে ৩৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। পরে দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি) জানায়, উদ্ধারকৃতের মোট সংখ্যা ৪৩। সর্বশেষ উদ্ধারকৃত ব্যক্তির বয়স ৬৫। ভূমিকম্পের ১৯ ঘণ্টা পর তাকে ইলাজিগ প্রদেশের মোস্তফা পাশা এলাকা সংলগ্ন একটি ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়। একই এলাকা থেকে কম্পনের ১৭ ঘণ্টা পর আজিজি নামের এক নারীকে উদ্ধার করতে সমর্থ হয় উদ্ধারকর্মীরা।

তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে ইলাজিগের সিভরাইস জেলায় কম্পন অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ৬ দশমিক ৭ কিলোমিটার গভীরে। ইলাজিগ প্রদেশ ছাড়াও মালাতিয়া প্রদেশ, দক্ষিণাঞ্চলীয় আদানা ও উত্তরাঞ্চলীয় সামসুন এলাকাতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।

ভূমিকম্পের পর দফায় দফায় আফটার শক ঘটেছে। রিখটার স্কেলে এগুলোর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩ থেকে ৫ দশমিক ৫ পর্যন্ত।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোইলু জানিয়েছেন, কম্পনের ফলে বেশকিছু ভবন ধসে পড়েছে বা স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আরব ও ইউরেশীয় প্লেটের ওপর অবস্থিত তুরস্ককে ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ আগস্ট ৩৭ সেকেন্ডের এক ভূমিকম্পে দেশটিতে ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও ৪৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। তুরস্কের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় মারমারা অঞ্চলে কম্পনটি আঘাত হেনেছিল। এর তিন মাসের মাথায় ১৯৯৯ সালের ১২ নভেম্বর ডিজসে প্রদেশে ৭ মাত্রার আরেকটি কম্পন আঘাত হানে। এতে ৮৪৫ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও প্রায় ৫ হাজার মানুষ। সূত্র: ডেইলি সাবাহ, আনাদোলু এজেন্সি, ইউএসজিএস।