চীনে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬, কানাডাতেও মিলেছে আক্রান্ত

চীনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে। রবিবার সকালে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এই তথ্য জানিয়েছে। এদিন দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৮৫ জন এবং আরও দুই হাজার ৬৮৪ জন আক্রান্ত হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এর আগে শনিবার এই ভাইরাসে ৪১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে চীনা কর্তৃপক্ষ। এছাড়া চীনের বাইরে নতুন করে কানাডাতেও একজন আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।noname

চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে উৎপত্তি হওয়া এ ভাইরাস ইতোমধ্যে রাজধানী বেইজিংসহ ২৯টি প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ২০ বছরে চীন এবং বাকি বিশ্বের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট যোগাযোগ দ্রুত সম্প্রসারিত হওয়ায় ভাইরাসটি চীনের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, নেপাল, ফ্রান্স ও সৌদি আরবসহ অন্তত ১১টি দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে।

নতুন করে শনিবার কানাডার তরফে জানানো হয়, গত সপ্তাহে উহান শহর থেকে ফেরা এক ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে। অন্টারিওর স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আক্রান্ত ব্যক্তি ৫০ বছর বয়সী একজন পুরুষ। ২২ তারিখ টরেন্টোতে ফেরার পরদিন হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। তবে তার অবস্থা এখনও স্থিতিশীল।

চীনে আক্রান্ত ও মৃতের বেশিরভাগ খবর মূলত হুবেই প্রদেশ থেকেই আসছে। প্রদেশটির কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। এর মধ্যে উহানেই মারা গেছে সাত জন। এছাড়া সাংহাইতে প্রথমবারের মতো একজন মারা যাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। শনিবার ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরোর বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, ‘গুরুতর পরিস্থিতির’ মোকাবিলা করছে তাদের দেশ।

উল্লেখ্য, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হুবেই প্রদেশের উহান শহরে গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উহানসহ মোট তিনটি শহরের প্রায় দুই কোটি মানুষকে শহর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিল্প ও পরিবহন কেন্দ্র হিসেবে জনপ্রিয় ও জমজমাট শহর উহানে এখন কার্যত সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে।