ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ শহরে বিক্ষোভ

ভারতের ৭১তম প্রজাতন্ত্র দিবসে দেশটির সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০টি শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) এসব বিক্ষোভে যোগ দেয় হাজার হাজার ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। সিএএ বিরোধী প্লাকার্ড নিয়ে তারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধেও স্লোগান দেয়। নাগরিকত্ব আইন ও প্রস্তাবিত জাতীয় নাগরিক তালিকা (এনআরসি) প্রত্যাহারের দাবি জানায় তারা।noname

বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে নিপীড়নের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করতে গত বছরের ডিসেম্বরে আইন সংশোধন করেছে ভারত। আইনটিকে মুসলিমবিরোধী ও বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে ভারত জুড়ে তীব্র প্রতিবাদ চলছে। তবে কোনওভাবেই আইন প্রত্যাহার করা হবে না জানিয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার।

রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, হাউসট, আটলান্টা, সান ফ্রান্সিসকোর ভারতীয় কনস্যুলেট এবং ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ভারতীয়রা। এসব বিক্ষোভে উচ্চারিত হয় ‘ভারত মায়ের জয়,’ ‘হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান, আমরা সবাই ভাই ভাই’ স্লোগান। 

সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয় শিকাগো শহরে। সেখানে কয়েক মাইল দীর্ঘ মানবন্ধনে যোগ দেয় বিক্ষোভকারীরা। ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের কাছের একটিন পার্কে স্থাপিত মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির কাছে সমবেত হয়ে প্রায় পাঁচশো ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে মিছিলে যোগ দেয়।

সদ্য গঠিত স্টপ জেনোসাইড নামে একটি জোট যুক্তরাষ্ট্রে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভের আয়োজন করে। এই জোটে রয়েছে ভারতীয়-আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিল, ইকুইটি ল্যাবস, ব্লাক লাইভস ম্যাটারস, জিউস ভয়েব ফর পিস, হিন্দুস ফর হিউম্যান রাইটসের মতো সংগঠন রয়েছে।

ওয়াশিংটনের বিক্ষোভে ম্যাগসাসাই পুরস্কার জয়ী সন্দিপ পান্ডে বলেন, ‘ভারতে সিএএ ও এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভে সরকারের নৃশংস অভিযানের কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে বিপুল সংখ্যক নারীকে রাস্তায় নেমে সরকারের সাম্প্রদায়িক ও ফ্যাসিস্ট এজেন্ডার প্রতিবাদ করতে হচ্ছে’। তিনি বলেন, এতে আশা দেখতে পারছি সাধারণ মানুষেরাই শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষা করবে।