ইউরোপীয় পার্লামেন্টকে কড়া জবাব ভারতের

ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে আনা খসড়া প্রস্তাবের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মোদি সরকার। ওই প্রস্তাবে বিতর্কিত আইনটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। তবে দিল্লির দাবি, এটা একদমই ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। গণতান্ত্রিক নিয়ম মেনেই এটা করা হয়েছে।

133946-wndfgxounn-1580109978

ভারতের মুসলিমবিদ্বেষী নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেড় শতাধিক আইনপ্রণেতা। বিতর্কিত এই আইন বিশ্বের বৃহত্তম রাষ্ট্রহীনতার সংকট তৈরি করবে বলেও সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন তারা। পাঁচ পৃষ্ঠার এক খসড়া প্রস্তাবে তারা উল্লেখ করেছেন, যে পন্থা অবলম্বন করে ভারত ওই আইন প্রস্তুত করেছে তাতে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। আগামী সপ্তাহে ব্রাসেলসে ইইউ পার্লামেন্টে ওই খসড়া পেশ করা হবে।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ৭৫১ সদস্যের মধ্যে ৬০০ জনেই ওই প্রস্তাবে সাড়া দেয়। তারা জানায়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রহীনতা সংকট তৈরি করতে পারে এই আইন। এর বিপরীতে সরকারি এক সূত্র এনডিটিভিকে বলেছে, নাগরিকত্ব আইন পুরোপুরি ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আর এই আইনটি সঠিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় থৈরি করা হয়েছে। পার্লামেন্টে দুই কক্ষেই বিলটি পাস হয়ে আইনে পরিণত হয়েছে।

সরকারি সূত্র এনডিটিভিকে বলেছে, ‘প্রত্যেক সমাজেরই নিজস্ব কিছু ধারা থাকে। এটা বৈষম্য নয়। এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়নও অতীতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে।’ এছাড়া এই খসড়া পর্যালোচনার আগে ভারত সরকারের সঙ্গে ইইউ আলোচনা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে ওই সূত্র। তার দাবি, ‘গণতান্ত্রিক শক্তি হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টের এমন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া উচিত নয় যেটা বিশ্বের অন্য বৈধ ও নির্বাচিত গণতান্ত্রিক কর্তৃপক্ষের অধিকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।’

সম্প্রতি পাস হওয়া সিএএ-তে প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে গিয়ে বসবাসরত অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই আইনকে মুসলিমবিরোধী আখ্যা দিয়ে দেশজুড়ে প্রতিবাদ চলছে। আর এই আইনকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে এটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান।