মধ্যপ্রাচ্যে দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধান চায় ভারতের

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে ভারত। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাভিশ কুমার এই আহ্বান জানান। গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশের একদিন পর ফিলিস্তিনের বিষয়ে তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে দিল্লি। দেশটির সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

q9bdqn24_palestine-flag-afp_625x300_11_September_18

২৮ জানুয়ারি বহুল আলোচিত ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি বা ‘শতাব্দীর সেরা চুক্তি’ নামের একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক জেরুজালেম শহরকে ইসরায়েলি ভূখণ্ড হিসেবে দেখানো হয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলি দখলদারিত্বের ফলে শরণার্থীতে পরিণত হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার অধিকার অস্বীকার করা হয়েছে। জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরের অংশবিশেষ ও গাজা উপত্যকা নিয়ে নামমাত্র একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হয়েছে; যে রাষ্ট্রের নিজস্ব কোনও সেনাবাহিনী থাকবে না। অন্যদিকে ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।

বুধবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাভিশ কুমার বলেন, ‘দুই পক্ষের সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যা সমাধানের পক্ষে আমরা। এটাই দুই পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। আমরা সব পক্ষকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য একটি গ্রহণযোগ্য দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান খুঁজে বের করার আহ্বান জানাই।’ তিনি আরও বলেন, আমরা আঞ্চলিক ঘটনাগুলো পর্যবেক্ষণ করবো এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে যুক্ত থাকবো।

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে ইসরায়েল ফিলিস্তিনসহ অন্যান্য আরব রাষ্ট্রের একটা বড় অংশ দখল করে নেয়। পরে আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলের সীমানা নির্ধারণ করা হয়। আর দখলীকৃত ভূখণ্ডে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্য নির্ধারিত ওই সীমানার বাইরের বাদবাকি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। এই সমাধান প্রকল্পকেই দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধান বলা হয়ে থাকে। তবে আজও তা আলোর মুখ দেখেনি।